মরুরাজ্যে রাজনৈতিক ডামাডোল! কংগ্রেস নির্বাচনে লড়তে চাই না, জানিয়ে সোনিয়ার কাছে দুঃখপ্রকাশ গেহলটের

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: কংগ্রেসের পরবর্তী উত্তরসূরি বাছা নিয়ে ঝাড়াইবাছাই পর্ব হবে আগামী ১৭ অক্টোবর। আর ১৯ অক্টোবর ফল ঘোষণা। রাহুল গান্ধী আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের কেউ-ই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করবেন না। এদিকে তার মধ্যেই ফের বড় চমক। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সভাপতি নির্বাচনে জন্য প্রার্থিতা করতে চাইলেও মরুরাজ্যে প্রবল অসন্তোষের কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয়েছে। সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বদলে ফেললেন সিদ্ধান্ত। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন না অশোক গেহলট। দলের অন্তর্বর্তীকালীন নেত্রীর কাছে রাজস্থানের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
এদিন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোচিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়তে অনুরোধ করেছি। তিনি রাজি না হওয়ায়, আমি বলেছিলাম আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কিন্তু, এখন রাজস্থানের রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর থাকাটাও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন গেহলট। তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রিত্বের বিষয়ে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব কি না তা ম্যাডামই জানাবেন। ইন্দিরাজির সময় থেকে আমি কংগ্রেসের একজন অনুগত সৈনিক। জয়পুরে যা ঘটেছে, তাতে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। দুই দিন আগে যা ঘটেছিল, তাতে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে, আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই বলেই এটা ঘটেছে। আমি সোনিয়াজির কাছে ক্ষমা চেয়েছি।” কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হলে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপরই, তাঁর অনুপস্থিতিতে শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হবেন আশঙ্কায় অঘোষিত বিদ্রোহের পথে হাঁটেন গেহলট অনুগামীরা। এই রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টায় গেহলট অনুগত তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছে। তারপরও দলের অভ্যন্তরীণ এই রাজনীতি থামানো যায়নি।