মঙ্গলকোটের হনুমান মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর

নিজস্ব প্রতিনিধি,মঙ্গলকোট: তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় হনুমান মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে বিজেপি-তৃনমুল চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল মঙ্গলকোটে । মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের ক্ষীরগ্রাম অঞ্চলের অন্তর্গত ধামাচির পাড়ে নব নির্মিত ওই হনুমান মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৃণমূলের মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি তথা স্থানীয় নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান অপূর্ব চৌধুরী । তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব চৌধুরী, ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আভিজিত সামন্ত প্রমুখ । বিজেপির অভিযোগ, আগামী বিধানসভার ভোটের কথা মাথায় রেখেই মন্দির উদ্বোধন করতে শুরু করেছে শাসকদল । যদিও তৃণমূলের দাবি এই মন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই । এদিন মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকার ৫০ জন ব্রাহ্মণকে নামাবলি পড়িয়ে সম্মানিত করেন মন্দির কমিটির সদস্যরা ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বছর চারেক আগে ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধামাচির পাড়ে রামভক্ত হনুমানের মুর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিহারের বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তি। তারপর গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মাটির দেওয়াল খড়ের ছাউনি দেওয়া একটি ছোট মন্দির নির্মান করা হয়। তখন থেকেই নির্দিষ্ট তিথিতে ধুমধাম করে পুজো হয়ে আসছে বজরঙ্গবলীর। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীদের দানের টাকায় মন্দিরটি পাকা করা হয়। পাশাপাশি ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েতের অর্থ্যানুকুল্যে নির্মিত হয় মন্দিরের সামনে একটি পাকা আটচালা । এদিন নব নির্মিত মন্দির ও আটচালার উদ্বোধন করতে আসেন স্থানীয় তৃনমুল নেতারা ।
আরও পড়ুন: কালো জিরায় প্রতিকৃতি এঁকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা শিক্ষকের
এই বিষয়ে বিজেপির পুর্ব বর্ধমান জেলা সাধারন সম্পাদক রানাপ্রতাপ গোস্বামী বলেন, “কথাতেই আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না । বিধানসভার ভোট চলে এসেছে। তাই তৃণমূল এখন টুপি ছেড়ে রামের স্মরনাপন্ন হচ্ছে । ওরা বুঝে গেছে বাংলায় আর টুপি পড়িয়ে কাজ হবে না। তাই ওদের এখন ভগবান রামের আস্রয় নিতে হচ্ছে ।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “আজকের মন্দির উদ্বোধনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “দেশের একটি রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে । কিন্তু এখানে দেখুন হনুমান মন্দিরের উদ্বোধনে হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের মানুষ শরীক হয়েছে । আজ সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করল মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম গ্রামের মানুষ ।”