
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: সােমেন মিত্রের জেতা সুনিশ্চিত আসনে অভিষেকবাবু ‘প্যারাশুট টুপার’ হয়ে আজ সাংসদ। তোপ দাগলেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন পুত্র তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার চব্বিশ ঘন্টার রেষ কাটতে না কাটতেই সোমবার ময়দানে নেমে পড়লেন সোমেন পুত্র।
গতকাল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক তাঁর বক্তব্যে দাবি করে ছিলেন, এখানে কেউ লিফ্টে ওঠেনি।’ এদিন রোহন মিত্র অভিষেকের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিঁধলেন। কারণ ডায়মন্ড হারবারের আসনের বিষয়ে সোমেন পুত্রের থেকে বেশি কেউ জানেনা। একসময়ে ডায়মন্ডহারবার ছিল সিপিএম – এর গড়। বামেদের সেই শক্ত ঘাঁটি জয় করে আধুনা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পথ সেদিন সুনিশ্চিত করেছিলেন সোমেনবাবু। এমনটাই মত তাঁর পুত্রের।
রােহন মিত্র এর পর আরও বলেন, ‘অভিষেক বাবু জনসভায় বলেছেন, সােমেন মিত্র নাকি ডায়মন্ডহারবারের মানুষের জন্য সাংসদ থাকাকালীন কোনাে কাজ করেননি! অভিষেকবাবুর নিশ্চয়ই জানা আছে, সারদা সহ চিটফান্ড দুর্নীতির কবলে পড়ে ডায়মন্ডহারবার তথা দঃ ২৪ পরগণার গরীব মানুষেরা সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সেই সব হারানাে মানুষগুলাের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সােমেন মিত্র ঘৃণায় তৃণমূল ছেড়েছিলেন। তিনি সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত একটা দলের সংসর্গ ত্যাগ করে , হেলায় সাংসদ পদ ছেড়ে আবার পুরানাে দল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তৃণমূলের মতাে অসৎ দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সাংসদ থাকাকালীনই চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সর্বোচ্চ স্তরে চিঠিও লিখেছিলেন সােমেন মিত্র।’
অভিষেকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রোহন বলেন, ‘আবারও বলছি, অভিষেকবাবু, সােমেন মিত্রের মূল্যায়ণ করার আগে ইতিহাস – ভূগােলটা একটু ভাল করে জেনে আসুন । দরকারে আপনার দলের নেতা – মন্ত্রী , যাঁদের নেতা বানিয়েছিলেন সােমেন মিত্র, তাঁদের কাছে গিয়ে একটু – আধটু হােম ওয়ার্ক করে তারপর বক্তব্য রাখুন।’ সাতগাছিয়ার জনসভায় ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে উঠে এসেছিল সােমেন মিত্রের নাম। তারপরই তাকে পাল্টা আক্রমণ করেন রােহন মিত্র বলেন, ‘ইতিহাস ভূগােল জেনে রাজনীতিতে নামা উচিত। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ থাকাকালীন প্রয়াত সােমেন মিত্র কী কী কাজ করেছিলেন তা আজ মঞ্চে বসা অশােক দেব অথবা প্রয়াত তমোনাশ ঘােষ – এর কাছ থেকে এতদিনে জেনে নিতে পারতেন অভিষেকবাবু। হােমওয়ার্ক না করে নামলে ভুলভাল কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবেই।’