
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে অসমে। অসমে বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষ। নতুন করে আরও একজনের মৃত্যু হওয়াতে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬ তে। এখন পর্যন্ত ১৬ জেলায় আড়াই লক্ষ মানুষ বন্যায় দুর্গত। রাজ্যের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে ধেনাজি। এছাড়া তিনসুকিয়া, মাজুলি এবং ডিব্রুগড়ও বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানাচ্ছে, বন্যার জেরে নতুন করে যে একজন প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে ড্রিবুগড়ে।সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার শাখা নদীগুলি বেশ কয়েকটি স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। যার ফলে ধেমাজি,লাখিমপুর, বক্সা, নলবাড়ি, কোকরাঝাড়, বিশ্বনাথ, শিবসাগর, ডিগ্রুগড়, উদালগুড়ি, দারান্ফ, বারপেটা, মাজুলি, নাগাঁও, গোলাঘাট, জোড়াহাট, ও তিনসুকিয়া জেলাগুলিতে বন্যা হয়েছে।এএসডিএমএ জানিয়েছে, জেলা কর্তৃপক্ষ ছটি জেলায় ১৪২ টি ত্রাণ শিবির এবং বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। যেখানে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা হলে তার পরিণতি খারাপ, চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতের
গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরপূর্বে। জোর বৃষ্টি হচ্ছে ভুটানেও। এর ফলে অসমে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক জায়গায় ব্রহ্মপুত্রের নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষর (ASDMA ) দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে জোরহাট জেলার নেমাতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র। তিনসুকিয়া জেলার সোনিতপুরেও তাই। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান আর পবিতরা অভয়ারণ্যেও বন্যার জল ঢুকে পড়েছে। পবিতরার ৮০ শতাংশ এলাকা জলমগ্ন।