আলু ৪০ টাকা! লকডাউনের সুযোগে বাজারে কালোবাজারি

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ২৪ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ২৫০ টাকা কেজি। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লকডাউনের সুযোগে অবাধে চলছে কালোবাজারি। অগ্নিমুল্য সব্জির দামে ছ্যাঁকা আম জনতার। কালোবাজারির নজরে পড়তেই আসরে নামল খোদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। সব্জি বিক্রেতা থেকে আড়তদার সকলকে কড়া সতর্ক করল। রবিবার হাটের দিন ঘটনাটি ঘটেছে বুদবুদ বাজারে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে পুর্ব বর্ধমানের বুদবুদে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুদবুদ পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন সুস্থতার পথে। আর এই সংক্রামক রুখতে দিনে রবিবার লকডাউনের উদ্যোগ নেয় ব্লক প্রশাসন। রবিবার ছিল বুদবুদ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন। পরে কাঁচা সব্জি নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় রবিবার অর্ধদিবস লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার রাজ্যের সম্পুর্ন লকডাউন। তারপর আবার মঙ্গলবার বুদবুদ বাজার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। সবমিলিয়ে দুর্ভোগ কমাতে শনিবার রাত থেকে সব্জি কেনার তাড়াহুড়ো পড়ে যায়। আর বাজারে ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখে বিক্রেতাদের তরতরিয়ে দাম চড়তে শুরু করে। অভিযোগ শনিবার রাত্রে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে আলু, পেঁয়াজ ২৪ টাকা কেজি, কাঁচা লঙ্কা ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিকোতে শুরু করে। আর ওই দর শুনে চক্ষু চড়ক গাছ সাধারন মানুষের। রবিবার হাটের দিনও অস্বাভাবিক সব্জির দাম হাকতে শুরু করে বিক্রেতারা।
[আরও পড়ুন- ব্রাউন সুগার সহ ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল ভক্তিনগর থানার পুলিশ]
তবে আলুর দাম ৩৫-৩৭ টাকা কেজি যেমন বিকোয়। তেমনই কাঁচা সব্জি ছিল ৪৫ টাকার ওপর। অভিযোগ পাইকারি বাজারে কম দাম থাকলেও খুচরো বাজারে দ্বিগুন থেকে তিনগুন বেশী দামে বিকোতে শুরু করে। ছুটির দিনে সব্জির কালোবাজারি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে আমজনতা। পরিস্থিতি দেখে আসরে নামে বুদবুদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু। পাইকারি বাজার দরের তালিকা নিয়ে গোটা হাটে অভিযানে নামেন তিনি। কালোবাজারি করা সব্জি বিক্রেতাদের কড়া সতর্ক বার্তা দেন। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে আলু সহ সমস্ত সব্জির দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে। অথচ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কালোবাজারি করছিল। তাই সতর্ক করেছি। আবারও অভিযান করা হবে। কালোবাজারি ধরা পড়লে এবার আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে বুদবুদ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রতন সাহা অবশ্য জানান, “কালোবাজারি সমর্থন করি না। সব্জি বিক্রেতারা যেটা করেছে উচিত হয়নি।” তিনি আরও বলেন,”রবিবার প্রশাসনের অপরিকল্পিত আচমকা লকডাউন ঘোষনায় এরকম পরিস্থিতি তৈরী হয়।”