fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

বিদ্যুৎহীন! চাহিদা বাড়ছে হাতপাখার, খুশি হাতপাখা কারিগররা

ভীষ্মদেব দাশ, পূর্ব মেদিনীপুর: আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। যারফলে অসহ্যকর গরম থেকে রেহাই পেতে এখন সকলের ভরসা হাতপাখা। ক্রমশ হাতপাখা উঠে গিয়েছিল বলা চলে। ফ্যান, এসি, কুলারের হাওয়াতে মজে ছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে গোটা চিত্র পালটে গিয়েছে। ঝড়ের ফলে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি, ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুৎ কেবলও। যারফলে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বিদ‍্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অধিকাংশ ইলেকট্রিক পোষ্ট এখন ভেঙেচুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে মানুষের কাছে এখন আর এসি, কুলার, ফ‍্যান চালানোর কোনও উপায় নেই।

অপরদিকে জেলাজুড়েই চলছে তীব্র তাপদাহ। এমন পরিস্থিতিতে গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ ভরসা করছে হাতপাখার ওপর। হঠাৎ করে জেলাজুড়ে হাতপাখার চাহিদা বাড়ায় আর্থিক লাভের সম্মুখীন হচ্ছেন জেলার পাখা কারিগররা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ডিমারির পাকুড়িয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষ এই পাখা তৈরি করেন। গত কয়েকবছরে পাখা বিক্রি হয়নি বললেই চলে। আমফানের সহায়তায় এখন হাত পাখার চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। জেলার তমলুকের ডিমারি থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০- ৬০,০০০ হাতপাখা রপ্তানি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রবল চাহিদা থাকায় রাতদিন পাখা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কারিগররা। প্রতিটি তালপাতার পাখার দাম ১০ টাকা, এবং প্লাস্টিকের পাখার দাম ৫টাকা। পাখা তৈরি করে একজন কারিগর দিনে প্রায় ২৫০- ৩০০ টাকা উপার্জন করছেন।

ইতিমধ‍্যে এই হাতপাখা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ছাড়িয়ে পাড়ি দিয়েছে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়াতেও। তমলুকের বাসিন্দা পাখা তৈরির কারিগর পরিমল মন্ডলের কথায়, “ঝড়ের পরেই প্রচুর হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে। রোজ ৫০০০- ১০,০০০ হাতপাখা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দোকানে যাচ্ছে। হাতপাখার চাহিদা এভাবে বাড়বে তা ভাবিনি। বাজার ভালো হওয়ায় লকডাউনের সময়ে ভালো চলছে।সবমিলিয়ে বিদ‍্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে এখন সাধারণ মানুষের অন‍্যতম ভরসা এই হাতপাখা। যা বিক্রি করে সুদিন ফিরে এসেছে হাতপাখার কারিগরদেরও।

Related Articles

Back to top button
Close