হাসপাতালের চারিদিকে ছড়িয়ে পিপিই কিট, মাস্ক, সরানো হবে বলে জানালেন সুপার

অভিষেক আচার্য, কল্যাণী: নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি করে। যা নিয়ে রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। এই পরিস্থিতিতে নদীয়ার কল্যানীর অতি পরিচিত জেএনএম হাসপাতালের যে চিত্র ধরা পড়েছে তা দেখে রীতিমত আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। হাসপাতাল জুড়ে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ব্যবহৃত পিপিই কিট,মাস্ক ও গ্লাভস।
অন্য জেলা থেকে লালারসের নমুনা জমা করতে আসছেন নদীয়ার কল্যানীর জে এন এম হাসপাতাল ও মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে। অভিযোগ, ফেরার সময় তাঁদের একাংশ পরে থাকা পিপিই কিট খুলে ফেলে দিচ্ছে ক্যাম্পাসের মধ্যেই। মেডিক্যালের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অনেকে একই ভাবে পিপিই কিট ফেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। শুধু পিপিই কিট-ই নয়। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেকে তাঁদের ব্যবহার করা মাস্কও যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ। হাসপাতালের লোকজনই এই অভিযোগ তুলেছেন। এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতাল চত্বরে। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছে, এমন হলে হাসপাতাল চত্বরই সংক্রমণের আঁতুড়ঘর হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সংক্রমণ কী ভাবে ছড়াচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার মধ্যে ক্যাম্পাসে পিপিই কিট, মাস্ক পড়ে থাকার ঘটনায় অনেকেই উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, হাসপাতালে অন্য রোগীরা রয়েছেন। আছে প্রসূতি এবং শিশু বিভাগও। সকলের পক্ষেই বিষয়টি বিপজ্জনক। কয়েক জন চিকিৎসক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেনও। তাঁরা এ বারে প্রশ্ন তুলছেন, তার পরেও কেন তা নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে? দ্রুত বিষয়টি দেখার জন্যও বলেছেন তাঁরা। এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমার নজরে ছিল না। কালকেই পিপিই কিটগুলো ওখান থেকে সরিয়ে ফেলা হবে এবং সেগুলি নষ্ট করা হবে।