
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বিশিষ্ঠ আইনজীবী ও সমাজসেবী প্রশান্ত ভূষণ। তাকে শীর্ষ আদালত ক্ষমা চাওয়ার জন্য দু’দিন সময় দিলেও তিনি রাজি হননি। আর এই নিয়ে আদালত ও প্রশান্ত ভূষণের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। মঙ্গলবার আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় প্রশান্ত ভূষণের উদ্দেশে আদালত প্রশ্ন করল, ‘আপনার কথায় কেউ দুঃখ পেলে, ক্ষমা চাইতে অসুবিধা কোথায়?’
কিছুদিন আগে দেশের শেষ চার প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। এছাড়াও প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের হার্লে ডেভিডসন বাইকে চড়ার ছবি নিয়ে নিয়ে টুইট করেছিলেন প্রবীণ আইনজীবী।
আদালত অবমাননা মামলায় বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালের কাছে জানতে চান, অবমাননার জন্য কী সাজা দেওয়া উচিত? বেণুগোপাল বলেন, প্রশান্ত ভূষণকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হোক। শাস্তি দেওয়ার দরকার নেই। এই মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালের আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেছে এদিন। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের কাছে মামলাটি শুনানির জন্য অন্য বেঞ্চে পাঠানোর সুপারিশ করে। প্রধান বিচারপতি জানান, নতুন বেঞ্চ গঠনের পরে ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটির শুনানি হবে।
এদিন শুনানিতে প্রশান্ত ভূষণের আইনজীবী চেয়েছিলেন তাঁর ক্ষমা না–চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে পুরো বিবৃতিটি পড়ে শোনাতে। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাতে রাজি হয়নি। বেঞ্চ মন্তব্য করে, প্রশান্ত ভূষণের মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আদালতে লিখিত জবাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, তার আগে সংবাদমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। একজন প্রবীণ আইনজীবীর কি এটা করা উচিত? একইসঙ্গে আদালত বলেছে, মনে রাখতে হবে আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘যদি কোনও আইনজীবী বিচার বিভাগের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করতে বিবৃতি দিতে থাকেন, তাহলে মানুষ কেন আদালতে আসবে? আমরাও প্রথমে আইনজীবীই ছিলাম। আপনার থেকে আলাদা কিছু নয়। সমালোচনা স্বাগত। তবে, জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করা উচিত নয়। সব কথা মিডিয়াতে যাওয়া ঠিক নয়।’ আদালতের মর্যাদার কথা খেয়াল রাখা উচিত বলেও মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।