
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়ক-সাংসদদের কাজে অসন্তুষ্টি, কড়া অবস্থানের ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের। রাজনৈতিক প্রচার হোক বা রাজনৈতিক দলের বৈঠক- সবই কিছুতেই ভরসা সেই সোশ্যাল মিডিয়া। এই মাধ্যমকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলেই সংকট বাড়বে প্রচারে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং বিধায়করা সম্প্রতি ড্রোভে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তাঁদের অনেকেরই প্ল্যাটফর্মে বা তাদের অ্যাকাউন্টে যে পোস্টগুলি দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধ্যানধারণা নেই। তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর পোস্ট নিয়ে কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম ভারতীয় পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি বা আই-প্যাক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কেরলের পর এবার তামিলনাড়ু, মুখে আঘাতে ফের হাতির মৃত্যু
পরিস্থিতি যা তাতে, ২০২১-এর আগে যাতে বুমেরাং না হয়ে যায়, তার জন্য দলকে তিনি পরামর্শ দেবেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করতে। তা না হলে ২০২১-এর নির্বাচনী প্রচারে তারা পিছিয়ে পড়বেন। দলের অনেক নেতা-নেত্রীই সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ। তার আরও অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হতে না হতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঁফাস মন্তব্য করে দলকে বিপদে ফেলে দিচ্ছেন অনেক নেতারা। তার খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে, ধাক্কা খাচ্ছে প্রচার-পরিকল্পনা।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোরকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কৌশল গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর থেকে তিনি তৃণমূলের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিমের ভূমিকা ছিল। তারপর থেকেই তিনি বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকটি দলের হয়ে কাজ করেছেন।