
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ব্রিটেনে যাচ্ছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই খবরটি জানিয়ে বলা হয়েছে, রানির শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার লন্ডন যাবেন রাষ্ট্রপতি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০ বছরে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক নিবিড় ও দৃঢ় হয়েছে। ভারতের পক্ষে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে যাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে প্রয়াত হন ৯৬ বছরের রানি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভারতে জাতীয় শোক পালিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীর পাশাপাশি রানির শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের আমন্ত্রণ এসেছে। তবে শেষকৃত্যে যোগ দিতে মোদীর লন্ডনে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি সে সময়ে এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে থাকবেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সেখানে বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। তবে ২৭ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে টোকিয়ো যাওয়ার কথা মোদীর।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাতে আগামী সোমবার লন্ডনে হাজির থাকবেন প্রায় ১০০ জন রাজা-রানি ও রাষ্ট্রনেতা। পশ্চিম লন্ডনের এক অজ্ঞাত স্থান থেকে তাদের সবাইকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে আনার জন্য থাকছে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা। কেবল নিরাপত্তাজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ও জাপানের সম্রাট নারুহিতোর জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্রিটেন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা হবে রানির দেহ। এদিন সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে আগামী সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর শেষকৃত্যের আগে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ রানিকে অন্তিমশ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। ওইদিন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্বামী ফিলিপের পাশেই সমাহিত করা হবে তাঁকে। ১৯৬৫ সালে উইনস্টন চার্চিলের পর এই প্রথম পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কোনও রানির।শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার কথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার রণিল বিক্রমাসিংঘে সহ আরও অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কেরা। মহারানির শেষযাত্রা নিয়ে গোটা ইংল্যান্ড মুড়ে ফেলা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে।