লাদাখ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ অধীরের

কৌশিক অধিকারী, বহরমপুর: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নিজের পদের দায়িত্ব তিনি পালন করছেন না, প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় দেশের মানুষকে বলেন কখন থালি বাজাতে হবে এবং কখন তালি দিতে হবে। তার জন্য তার সময়ে্র অভাব নেই এবং দেশের মানুষকে ভাষণ দেওয়া্র উৎসাহের অভাব নেই। সারা দেশের মানুষ চাইছেন আমাদের জওয়ানদেরকে নিশংসভাবে হত্যা করল চিন তার জবাব চাইছে তখন প্রধানমন্ত্রী চুপ করে আছেন। তার হিম্মত নেই দেশের মানুষের কাছে এসে সত্য কথা বলা।” লাদাখ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন লোকসভা পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী ।
বুধবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে চিনের ভারতীয় সেনা হামলা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার অনুষ্ঠানে শেষ নেই কিন্তু দেশের মানুষকে সাহস ও হিম্মত দেওয়া দরকারে তিনি চুপ করে আছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে আসুন খোলস থেকে, চিনে সঙ্গে যে দৈত্য আছে আপনার কাজে লাগেনি। আজকে দেশের মানুষ অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় আছে।
দেশের সীমান্তে শহিদ হলেও চব্বিশ ঘণ্টা লেগে গেল জানাতে। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছে, সব রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রী পাশে থাকবে চিনকে জবাবের মতো, জবাব দিন। যে ভাষা চিনকে বোঝানো দরকার, সেই ভাষায় চিনের সঙ্গে কথা বলুন। ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালে, ভারত তোমার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে। প্রত্যেক আক্রমণ পর ভারতবর্ষের বীর যোদ্ধারা দেখিয়ে দিতে পারে। চিন যদি মনে করে ভারতবর্ষের ফৌজ পারবে না তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বসবাস করছে। ভারতের ফৌজ চিনকে যথাযথ জবাব দেওয়া জন্য সব ক্ষমতা নেতৃত্ব দিন, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্ব অভাব দেখা দিচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
পাশাপাশি অধীর চৌধুরী এও বলেন, চিনের লক্ষ্য হচ্ছে ভারতবর্ষের শক্তিবৃদ্ধি যাতে না হয় তা লক্ষ্য করা। নেপালের সঙ্গে আমাদের আজীবন সুসম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল এটা আমি মনে করি কূটনৈতিক বিপর্যয়। বিজেপি সরকারের আমলে এটা হল, রোটি বেটি সম্পর্ক ছিল তা আজকে খারাপ হল। নেপাল আজকে যে ব্যবহার করছে তা আমরা কখনও কল্পনা করিনি। আজকে নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। পাকিস্তান আমাদের শত্রু দেশ, সারাজীবন শত্রুতা করবে আমরা জানি কিন্তু উন্নত দেশ কেন আমাদের শত্রু হচ্ছে তা আমাদের ভাবনা বিষয়। চিন তো চাইবেই পাকিস্তান, নেপাল অন্যান্য আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের বিরুদ্ধে যাক। চিন ভারতবর্ষকে ঘিরতে চাইছে, স্হল ও সামুদ্রিক সীমানা ঘীরতে চাইছে। আমাদের উচিত প্রতিবেশী যে সমস্ত রাষ্ট্র সম্পর্ক দীড় করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। চিন চাইলে দেশের বাইরে ও ভিতরে উভয় দিক থেকে বিপদে পডুক বলে মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
বুধবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে ডোমকল এলাকা থেকে কয়েকশো যুব তৃণমূল কর্মী তৃণমূল দল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান করলেন। এই যোগদানের ফলে ডোমকল এলাকায় কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি হল।