
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ আজ রংয়ের উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। এই বিশেষদিনে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
आप सभी को होली की हार्दिक शुभकामनाएं। आपसी प्रेम, स्नेह और भाईचारे का प्रतीक यह रंगोत्सव आप सभी के जीवन में खुशियों का हर रंग लेकर आए।
— Narendra Modi (@narendramodi) March 18, 2022
শুক্রবার সকালে তিনি হিন্দিতে একটি টুইট করে লেখেন, ‘আপনাদের সবাইকে হোলির অনেক শুভেচ্ছা। পারস্পরিক ভালবাসা, স্নেহ ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক এই রঙের উৎসব আপনার জীবনে বয়ে আনুক আনন্দের প্রতিটি রঙ।’
করোনা আবহ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে দেশ। গত দুবছর ধরে দোলযাত্রায় কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই মানুষকে পালন করতে হয়েছিল।
দোলযাত্রা একটি সনাতনহিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম বসন্ত উৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মেতে ওঠে। দোলের আগের দিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান হোলিকা দহন বা ন্যাড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।