fbpx
অন্যান্যহেডলাইন

লাভজনক অপ্রচলিত সব্জি ব্রোকলি চাষ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফুলকপি, বাঁধাকপির পাশাপাশি বাঙালি এখন খেতে শুরু করেছে ইটালিযান সব্জি ব্রোকলি| বাঙালিদের কাছে এটি সবুজ ফুলকপি| বিভিন্ন স্যালাডে, স্যুপে এর জুড়ি মেলা ভার| তবে বাঙালি এই সবুজ ফুলকপি দিয়ে তরকারি বানিযেও খাচ্ছে| রাজ্যের কৃষকরাও ভিন্ন স্বাদের সব্জি চাষের মাধ্যমে লাভের মুখ দেখতে ব্রোকলি চাষ করছেন। চাষীভাইদের কথায একটি ব্রোকলি ১৪-১৫ টাকা (পাইকারি) হিসাবে বিক্ত্রি করা সম্ভব| এছাড়াও দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়ায এর ফলনেও অনেকেই মন দিযেছেন।

বর্ধমানের এক জনৈক কৃষক জানালেন তাঁর ব্রোকলি চাষের অভিজ্ঞতা| প্রায় ৪-৫ হাজার চারা নিয়ে তিনি এই চাষ করছেন| ৫০০ টাকা দিযে ১০ গ্রামের প্রায় ৫টি ব্রোকলির ঝুরো বীজের পাতা কেনেন তিনি। তারপর ৪ফুট চওড়া ও ২০ফুট লম্বা পরিমাপে একটি পেরে তৈরি করেন যার মাটি ঝুরঝরে করে তৈরি করেন| দুপাশে ড্রেন কাটেন, যাতে জল না জমে| এইভাবে জমি তৈরি করে তার ওপর বীজ ছড়িযে একটি বস্তা দিয়ে ঢেকে তার ওপর জল দেন| বীজ ছড়ানোর রঙ্ম দিন বাদে চারাগাছ বেরোতে শুরু করবে| এরপর এই এক-দেড় ইঞ্চি সাইজের চারাগাছে নিযমিত জল দিতে হবে। চাষীভাইয়ের মতে ঝাঁঝরি দিয়ে জল দিলে ভালো হয়|

চারাগাছের বযস যখন প্রায় ২৫-২৫ দিন হবে তখন সেগুলিকে তুলে পুনরায় রোপন করতে হবে| এই সময প্রতি গাছের মধ্যে লম্বায়-চওড়ায় দেড়ফুট দূরত্ব বজায় রেখে গাছগুলি রোপন করা হয়| পুনরায় গাছ রোপনের দিনের মাথায় এবং র দিনের মাথায় ঝাঁঝরি দিযে জল দিয়ে দিলে ফলন ভালো হয়| মূলত ব্রোকলিতে পোকা কম লাগে। তবু সার দিলে উন্নতমানের ফলন পাওয়া যায়| চারাগাছ রোপনের আগে সার দিয়ে মাটি তৈরি করে নিতে হবে| জনৈক চাষীর র‌্যাবিট ফার্ম আছে বলে খরগোশের বিক্কাকে তিনি জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করেছেন। প্রায় এক টন এই জৈবসার তিনি ব্যবহার করেন এক বিঘে জমিতে| জৈবসার দি্যে ভালো করে ট্র‌্যাক্টরের সাহায্যে ২-৩বার চাষ দিযে জমি তৈরি করেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ‘ইন্ডিয়ার চর’ ও ‘র এজেন্ট’ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে: হিন্দু মহাজোট

এই জৈবসারের সঙ্গে বিঘা প্রায় রাসাযনিক সার ২৫-৩০ কিলো এনপিকে ও ৫কিলো ইউরিয়াও মেশানো থাকে| মাটি তৈরি করে জল দিযে তারপর চারাগাছগুলি রোপাই করেন তিনি| এরপর নিয়ম করে জল দিতে হবে| এইভাবে চাষ করলে প্রায় ৯০ দিনের পর থেকে ফসল কাটার উপযুক্ত হয| জনৈক চাষীর বক্তব্য আজকের দিনে বাজারে ব্রোকলি প্রায় ৪০-৫০ টাকা পিস হিসাবে বিক্ত্রি হয| সে্রেত্রে রপ্তটাকা পাইকারি দর পেলেও লাভের মুখ তিনি দেখবেন| তাঁর কথায চাষে বৈচিত্র‌্য আনার জন্য অন্য কৃষকেরাও এই অজ্ঞ্রচলিত চাষ করে দেখতে পারেন| লাভের মুখ অবশ্যই দেখবেন তাঁরা কারণ এই চাষে কম খরচ আর দাম পাওযা যায় ভালো|

 

 

 

Related Articles

Back to top button
Close