fbpx
আন্তর্জাতিকহেডলাইন

রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনায় অগ্রগতি, হামলা কমানোর প্রতিশ্রুতি পুতিনের

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ টানা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। বহু মানুষে প্রাণহানি, শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে এক ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে সশরীরে আলোচনায় বসেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। উল্লেখযোগ্য এই বৈঠকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ নগরী ঘিরে সামরিক অভিযান বড় আকারে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।

ইস্তাম্বুলের বসফোরাস প্রণালির তীরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের দফতরে গতকাল ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার ওই শান্তি আলোচনা হয়। এর আগে সর্বশেষ ১০ মার্চ দুই পক্ষ সশরীরে বৈঠক করে।  মাঝখানের সময়ে সব আলোচনা হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। ইস্তাম্বুল বৈঠকে রুশ প্রতিনিধিদলের সদস্যন হিসেবে উপস্থিত থাকা রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্দার ফোমিন বলেন, ‘আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে কিয়েভ ও চেরনিহিভের কাছে লড়াইয়ের তীব্রতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ’

এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী হামলা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা পেলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে জানান, তাঁরা এমন একটি অবস্থান বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন, যেটার আওতায় ইউক্রেন কোনও জোটে যোগ দেবে না কিংবা ইউক্রেনে বিদেশি সেনাদের জন্য কোনো ঘাঁটিও হবে না। তবে সে জন্য ন্যাটোর সামগ্রিক প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান তাঁরা।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার শীর্ষ আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখবেন এবং বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে উত্থাপন করবেন।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ‘অগ্রগতি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত সাভাসগলু। আলোচনা শেষে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়েও তারা একমত হয়েছে। অধিকতর গুরুতর বিষয়গুলো নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করবেন। তারপর দুই দেশের নেতারাও বৈঠকে বসতে পারেন।

Related Articles

Back to top button
Close