
নিজস্ব প্রতিনিধি,, কলকাতা: পুজোর আগেই রাজ্যে পণ্য পরিবহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন দিল ‘ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন। ‘ কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছেন তাঁরা? ট্রাক মালিকদের বক্তব্য, যতোটা পণ্য নিয়ে আসা উচিৎ, তা আনতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে বেআইনি ভাবে ওভারলোডিং করা হচ্ছে। যারা ওভারলোডিং করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা না নিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে অন্যদের। এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ। এই সমস্যার সুরাহা না হলে পণ্য পরিবহণ বন্ধের হুমকি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ট্রাক সংগঠন তাঁদের দাবির সমর্থনে হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করবেন বলে জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি সমস্ত জেলাতেও তাঁরা আন্দোলন করবেন। রাজ্য সরকার যদি তাঁদের দাবি না মেনে নেয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পুলিশের জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে বন্ধ করতে হবে। এমভিআই-এর জুলুমবাজি, তার ওপর কোনও সংস্থার নামে প্যাড বানিয়ে সেখান থেকে পয়সা তোলা বন্ধ করতে হবে।
ট্রাক মালিক সংগঠনের দাবি, এর আগেও একাধিক বার তাঁরা এই অভিযোগ এনেছেন। যদিও সমস্যার সুরাহা হয়নি। লকডাউনের জেরে তাদের হাল বেহাল। ফলে এই বার সমস্যার সুরাহা না হলে তাদের পণ্য পরিবহণ বন্ধ করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমস্যা অ্যাক্সেল লোড। সারা ভারতবর্ষে যে অ্যাক্সেল লোড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে তা রাজ্য সরকার কোনওভাবেই মানছে না বলে অভিযোগ তাদের। তাদের বক্তব্য গোটা দেশের মতো এখানে সিদ্ধান্ত মানলে অন্যান্য রাজ্য থেকে ৪ থেকে ৫ টন পণ্য প্রতিদিন আমদানি-রফতানি করা যায়। যদিও এই রাজ্য অ্যাক্সেল লোড মানেনি।ফলে অন্যান্য রাজ্যের গাড়িগুলো ৪ টন থেকে ৫ টন পণ্য নিয়ে যেতে পারছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের লোকজন সেটা পাচ্ছে না। এর ফলে গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ গাড়ি আছে। যার সাথে সরাসরি যুক্ত আছে এক কোটি লোক। তাদের ব্যবসায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাক্ষাতে মহিলা কমিশন রুবি হাসপাতালে
ট্রাক সংগঠনের নেতা সুভাষ বোস জানাচ্ছেন, এর ফলে ব্যবসা প্রায় বন্ধের মুখে। । তাই সংগঠনের দাবি ওভারলোডিং বন্ধ করে আন্ডার লোডিং করতে হবে। অল ইন্ডিয়া মোটর ফাউন্ডেশনে তাঁরা এ নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন। এদিন তাঁরা হুশিয়ারি দিয়েছেন, কেন্দ্রের নিয়মানুযায়ী যদি অ্যাক্সেল লোডিং চালু না হয় তবে অন্য রাজ্য থেকে আসা সবজি, ওষুধ, মাছ, লঙ্কা, আলু, পোশাক বা অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি তারা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।