fbpx
অন্যান্যঅফবিটপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

করোনার গ্রাস থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো এক কিশোরের

সোমা কর, দিনহাটা: মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের থেকে মানুষকে রক্ষা করতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে মাসান পুজো দিল দিনহাটা শহরের এক স্কুল ছাত্র । মৈনাক রায় বর্মণ নামে ওই স্কুল ছাত্র তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে শনিবার দিনহাটা শহরের গোপালনগর এলাকায় স্থানীয় পুকুরের সামনে ওই ছাত্র এই পুজো দেন। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মৈনাক রায় বর্মণ দিন কয়েক আগেই স্বপ্ন দেখেন মাসান পুজো দেওয়ার। পৃথিবী কে করোনা মুক্ত করতে স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী পুজোর পাশাপাশি শান্তির প্রতীক হিসাবে দুই’টি পায়রা ছাড়ে ।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর দিনহাটা এক ব্লকের মাসান পাট এলাকায় প্রাচীন মন্দিরে এক মাসব্যাপী ধূমধাম করে মাসান পুজো হয়ে থাকে। পুজোর পাশাপাশি চলে মেলাও। জাগ্রত এই পুজো এবছর করোনা ভাইরাসের ফলে ধূমধাম করে বন্ধ হয়ে যায়। করোনা ভাইরাসের ফলে লকডাউন চলতে থাকায় সব রকম পুজো-পার্বণ অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

দিনহাটার মাসান পাঠে মন্দিরে এই পুজোতে প্রতিবছর দিনহাটা মহকুমা ও মহকুমার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ সেখানে গিয়ে পুজো দিয়ে থাকেন। এবছর নামকাওয়াস্তে পুজো হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধের কারণে বসেনি যেমন মেলা তেমনি দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেখানে যেতে পারেনি।

ছোট্ট এই ছাত্র স্বপ্নাদেশ পেয়ে এদিন গোপালনগরে পুকুরের ধারে পুজো দিলে সেখানে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশ নেন।

এদিন এই ছাত্র মৈনাক জানান, তিনি স্বপ্ন দেখেন মাসান পুজো দিচ্ছেন। আর পুজোর মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষসহ গোটা পৃথিবী মারণ এই রোগের হাত থেকে মুক্ত হয়ে উঠবে। স্বপ্ন দেখার পর সে তার মা ও পরিবারের অন্যান্যদেরকে জানান। সেই মতোই এদিন এলাকারই পুকুরের ধারে পুজো দেন। এদিন পুজো দিতে এসে তিনি প্রার্থনা করেন যে কঠিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে সকলকে যেন রক্ষা করে ঠাকুর।

মৈনাকের মা লিপিকা রায় বর্মণ, দিদা জ্যোৎস্না রাণি সাহা প্রমুখ জানান, ভারতবর্ষ সহ গোটা পৃথিবী জুড়ে করোনা খাবা যেভাবে গ্রাস করছে তা সাধারণ মানুষের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, মৈনাক স্বপ্ন দেখেন মাসান পুজো দিচ্ছেন। তাই খুদের স্বপ্ন অনুযায়ী এদিন পুকুরের ধারে এই পুজো হয়। এই পুজোর মধ্য দিয়ে করোনা মুক্ত হবে পৃথিবী। তাই এদিন পরিবারের সকলকে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই পুজো দেন।

Related Articles

Back to top button
Close