শুনশান ঝাড়গ্রামের পুজো মণ্ডপ, পথে গুটি কয়েক দর্শনার্থী

সুদর্শন বেরা, ঝাড়গ্রাম: আজ মহা সপ্তমীর দিন অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের পুজো মণ্ডপগুলি ছিল একেবারে শুনশান, মানুষজনের দেখা পাওয়া যায়নি। হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ পুজো মণ্ডপের সামনে এসে পুজো কমিটিগুলির নির্দেশ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা প্রতিমা দর্শন করেছেন দূর থেকে। করোনা পরিস্থিতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এবং প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলতে হচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। তাই পুজো মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি’ লেখা আছে। তাই সামনে কেউ যেতে পারছে না। এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ পুজো দেখতে অনেকেই আসছে না। যার ফলে একেবারে শুনশান অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম শহর। তাই মন খারাপ হলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য সকলেই ঘরে বসেই আনন্দ উপভোগ করছেন। কিন্তু সপ্তমীর দিন এমন চেহারা এর আগে কোনদিন দেখেনি ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দারা। রাস্তাঘাটে লোকজন নেই পুজো মণ্ডপগুলি ফাঁকা শুধু লেখা রয়েছে কনটেইনমেন্ট জোন ও নো এন্ট্রি। রাস্তাঘাটে লোকজন না আসায় ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারে লাটে উঠেছে। দোকানগুলিতে কোনও বিক্রি হচ্ছে না। তাই প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকায় সার্বজনীন দুর্গাপুজো মণ্ডপের সামনে গিয়ে দেখা গেল হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়িয়ে দূর থেকে প্রতিমা দেখেছেন। প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক এবং পূজা কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে স্যানিটাইজার দেওয়া হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিমা দর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কারো যদি মাস্ক না থাকে তাকে মাস্ক তুলে দিচ্ছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। মায়ের কাছে সকলের একটাই প্রার্থনা দেশ ও বাংলাকে করোনামুক্ত কর।