
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভায় তিনটি কৃষি বিল পাশ করিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স( প্রোমোশন অ্যান্ত ফেলিসিটেশন) বিল ২০২০, ফার্মার্স(এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ত প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ট ফার্ম সার্ভিস বিল ২০২০ এবং দ্য এসেন্সিয়াল কমোডিটিস(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২০। এই তিনটি কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল সারা দেশ। উত্তাল হয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি। সেই পরিস্থিতি নয়া পন্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পঞ্জাব ও হরিয়ানায় খরিফ শস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিতে বলল কেন্দ্র।
কৃষকদের মূল বিরোধিতা হল প্রথম বিলটি নিয়ে। যেখানে বর্তমান মান্ডির বাইরে ট্রেড এরিয়া তৈরির কথা বলা হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, যদি মান্ডি না থাকে তাহলে ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য থাকবে না। যদিও সরকার জানিয়েছে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য বজায় থাকবে।
গম ও ধানের মতো খরিফ শস্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু কেন্দ্র পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যে শনিবার থেকেই সেই কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।
কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশিকায় ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের মান্ডিতে গম আগেই চলে আসায় শনিবার থেকেই এফসিআই-সহ অন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কৃষকরা যাতে ন্যুনতম সহায়হ মূল্য পান, তাও দেখতে হবে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে ২২ টি শস্যের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। গত খরিফ মরসুমে ২৩ টি রাজ্য থেকে ৫১২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।