মহারাষ্ট্র থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরেছেন, বাঁশবাগানে শ্রমিকরাই গড়লেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের জেরে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে নিজেরাই বাশ ঝাড়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানিয়েছে সাতজন শ্রমিক। দুলক্ষ টাকারও বেশি দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফেরায় নিঃস্ব হয়েছেন প্রায় সকলেই। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি অসহায় ওই শ্রমিকদের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের ঘটনা। বাড়ি থেকে দূরবর্তী স্থানে একটি বাঁশঝাড়ে ত্রিপল দিয়ে তাঁবু খাটিয়েই দিন কাটাচ্ছেন ওই শ্রমিকেরা। বাড়ির ও আশপাশের লোকেদের দেওয়া খাবার খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন মহারাষ্ট্র থেকে আসা শ্রমিকরা।
জানাগেছে, মহারাষ্ট্রের ঘাটকাবার এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এলাকার ওই সাত শ্রমিক। প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫০ টাকা করে মজুরি ছিল তাদের। তবে দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় ওই শ্রমিকদের। সমস্যায় পরে বাধ্য হয়ে নিজেদের কাছে জমানো ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে লরি ভাড়া করে বাড়ি ফেরেন ওই শ্রমিকেরা। দীর্ঘ আট দিন ধরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ত্রিপল দিয়ে তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন হতদরিদ্র ওই শ্রমিকেরা।
উত্তম রায়, রতন সরকার ও সুকুমার রায়েরা জানিয়েছেন, বোম্বে থেকে ফেরার পর গ্রামবাসীরা তাদের বাড়িতে উঠতে দেননি। টিউবলের জল ব্যবহার করতেও দেওয়া হচ্ছে না তাদের। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাঁশবাগানে তাবু খাটিয়ে থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ বছর সেখানে থেকে রোজগারের জমানো যাবতীয় টাকা দিয়েই বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। আর যার জেরে তাদের সকলের হাতই প্রায় শুন্য।এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে তারা চলবেন সেই দুশ্চিন্তাও কিছুটা কাজ করছে তাদের মধ্যে। এই অবস্থায় প্রশাসন তাদের পাশে দাড়ালে অনেকটাই উপকৃত হবেন তারা।