যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা দিয়েছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে। কংগ্রেস সভানেত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে বলেন, ১৭ মে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী কি পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তা অবিলম্বে যেন দেশের মানুষকে জানানো হয়। শুক্রবার এই একই দাবি তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সোনিয়া পুত্র তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতর অনেকবেশী ক্ষমাতা সম্পন্ন। তাই এই মুহূর্তে সেই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামলে গোটা দেশেরই ক্ষতি হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন সংকটকালীন এই সময় ক্ষমাতা কেন্দ্রীভূত না রেখে তা হস্তান্তর করা প্রয়োজন। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বর্তমানে নজীরবিহীন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দেশ। আর এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শুধু জাতীয় পর্যায় নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গোটা দেশে জানা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই শক্তিশালী। তাঁর কাজকরার একটি নিজস্ব স্টাইলও রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রীর থেকে অনেক শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী, জেলা শাসকের প্রয়োজন। রাজ্য থেকে জেলা ও পঞ্চায়েত ও জেলা স্তরে নেমে কাজ করতে পারবে এমন দেশপ্রেমিক নেতাও প্রয়োজন রয়েছে। যারা তৃণমূল স্তরে নেমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে লকডাউন শিথিল হচ্ছে পাকিস্তানে
তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার এখন যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রাখলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও ক্ষমতা হস্তান্তরে জোর দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল স্তর থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তেই ছোট উদ্যোগপতি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া আর অভিবাসী শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। এখনই যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ানো না যায় তাহলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কর্মহানির সুনামি আসবে। একই সঙ্গে তিনি উত্তর দেন কেন তিনি বিশিষ্ট অর্থনীতিদিদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন প্রায়ই তিনি বিশিষ্টজনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু সেই কথোপকথন গোটা দেশবাসীর কাথে পৌঁছে দিতেই তার ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি মহারাষ্ট্রের ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘লকডাউনের ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র এবং দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সরকারের আজ, এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তা না হলে পরিণাম ভয়াবহ হবে।