যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংকে তোয়াক্কা না করে টিকিয়াপাড়ায় মিছিল হল, মিটিং হল। এটা কী রাজ্য চলছে। প্রশ্ন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার। প্রসঙ্গত রবিবার সকালে রেড জোন হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শান্তি মিছিল করে পুলিশ। আশপাশের বাড়ি থেকে পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়। সেই ঘটনার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে বিজেপি থেকে বাম সব মহলেই।
রবিবার এলাকার বাসিন্দারা হাওড়া সিটি পুলিশের পদাধিকারীদের নিয়ে মিছিল করেন। দুপাশের বাড়ি থেকে পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই লকডাউনের শর্ত মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং না মানার পাশাপাশি এই মিছিলে অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে।এই ঘটনার সমালোচনা করতে গিয়ে রাহুল সিনহা বলেছেন, পুলিশ সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং পালন করাতে গিয়ে, হামলার মুখে পড়ে। সেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রেড জোনে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিছিল হয়ে গেল, মিটিং হয়ে গেল। তাঁর প্রশ্ন এ কী রাজ্য চলছে। এরাজ্যে লকডাউনের কোনও মানেই সরকার বোঝে না।
আরও পড়ুন: একইসঙ্গে সরকার ও সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন! মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাজ্যপাল
রাহুল সিনহার প্রশ্ন এই পুলিশকে নিয়ে মিছিলের কী কারণ ছিল। জুতো মেরে গরু দান। রাহুল সিনহা বলে দুর্ভাগ্য এই রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য যেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া, টিকিয়াপাড়াকে রেড জোন ঘোষণা করেছেন, সেই রেড জোনে পুলিশের উপস্থিতিতে মিছিলও হল, মিটিংও হল। যা হয়েছে তা পুরোপুরি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংকে ভঙ্গ করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁর প্রশ্ন এই জিনিস আর কতদিন রাজ্যে চলবে। এই রাজ্যে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং না মানার কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের টহলদারি চলছিল। সেইসময় বহু মানুষ লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীরা বাধা দিতে গেলে পুলিশকে তাড়া করা হয়। পুলিশে একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দুজন পুলিশকর্মী আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়।