নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হুগলির তেলেনিপাড়ায় বুধবারেও অশান্তি অব্যাহত। আগুন জ্বলছে, মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ছে। আর পুলিশ পালিয়ে গিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বূধবার এই অভিযোগ করে অবিলম্বে তেলেনিপাড়ায় সেনা নামানোর দাবি করলেন। দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট এস্টেটে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ তেলেনিপাড়ার অশান্তি থামাতে পুলিশ ব্যর্থ। তাই আমি দাবি করছি অবিলম্বে তেলেনি পাড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা ডাকা হোক। পাশাপাশি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। দোকান, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, মুড়ি মুড়কির মতো বোমা আজও সকালে পড়েছে। আমি বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন করতে চাই বাইরের কোন একটি প্রদেশে একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটেছিল। তখন আপনারা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। আজ তিনদিন ধরে তেলেনি পাড়া জ্বলছে আপনারা চুপ কেন?’
বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি করার অভিযোগের জবাবে এদিন মুখ খোলেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিজেপি করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। আমার প্রশ্ন রাজনীতি কারা শুরু করলো? লকডাউনের মধ্যে অন্য প্রদেশ থেকে পিকেকে আনার কি প্রয়োজন ছিল? পিকেতো সরকারের কেউ নন, ভাড়া করা রাজনৈতিক সৈন্য। তাহলে পিকেকে এনে রাজনীতি শুরু করলো কে?’ এরপর তিনি বলেন, ‘ যদি আপনারা সব ঠিকঠাক ভাবে চালাতে পারছেন আমাদের কিছু বলার থাকতো না।
আরও পড়ুন: লোকাল টু গ্লোবাল! ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের জন্য ৩ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ কেন্দ্রের
প্রথম তিন সপ্তাহ আমরা কিছু বলিনি। আজ বাংলার মানুষ বলছে তৃণমূল চালচোর। পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতে পারছিলেন না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখতে হলো। আপনারাই তো বিজেপিকে বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন বিজেপি চায় তৃণমূল সাংসদরা করোনায় আক্রান্ত হোক। সেই কটাক্ষের জবাবে রাহুল বলেন, ‘বিজেপি সত্য আধারিত, ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করে। আমরা চরম শত্রুর ও রোগের কামনা করিনা। আর রাজনীতিই তমাকে যারা আমাদের বিরোধী তারা আমাদের প্রতিপক্ষ শত্রু নয়।’