উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সহ সমস্ত ট্রেন পুজোর আগে চালু করার দাবি উঠল

নিজস্ব সংবাদদাতা দিনহাটা: উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সহ সব ট্রেন পুজোর আগে চালু করার দাবি উঠল।পুজোর আগে ধীরে ধীরে যখন গন পরিবহন ব্যবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক করা হয়েছে তখন এই ট্রেনগুলো চালু করা হলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অনেকটা সুবিধা হবে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সংক্রমণ থেকে সুস্থতার হারও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সামনেই শারদীয়া দুর্গোৎসব।
পুজোর আগে বামনহাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলাচল করা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ছাড়াও তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল কে একইভাবে চালুর দাবি উঠেছে। এদিকে একটানা প্রায় ছয় মাস ধরে সব ট্রেন বন্ধ থাকায় দিনহাটা স্টেশনের দুইটি প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্টেশন কেউ।
এদিকে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমে আসায় গণ পরিবহন ব্যবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। স্কুল ও কলেজ বাদ দিয়ে বিভিন্ন অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় শারদীয় দুর্গা পুজোর আগে উত্তরবঙ্গের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ট্রেন চালুর দাবি উঠেছে।
দিনহাটা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক উৎপলেন্দু রায় বলেন,”ধীরে ধীরে সব কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। দোকানপাট হাট বাজার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি চালু হয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। এখন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চালু ছাড়াও অন্যান্য ট্রেন চালু করা উচিত। এতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে যাতায়াতে।”
দিনহাটা জনজাগরণ মঞ্চ,দিনহাটা নাগরিক মঞ্চ সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গা পুজোর আগেই উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চালু করার দাবি উঠেছে। একটানা কয়েক মাস ধরে দিনহাটার থেকে সমস্ত ট্রেন বন্ধ থাকায় নানাভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রেলযাত্রীদের। শিলিগুড়ি -দিনহাটা এবং শিলিগুড়ি বামনহাটের মধ্যে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালুর দাবি উঠেছে।
দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন,”কভিদ কোভিড ১৯ ইতিমধ্যে ছয় মাস হয়ে গিয়েছে। গণপরিবহন চালু হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন চালু করা হয়েছে। কোন কোন রাজ্যে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এই অবস্থায় কোচবিহার কলকাতার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র ট্রেন রয়েছে পদাতিক এক্সপ্রেস। সাহিক ভাবেই এই ট্রেনের উপরে চাপ পড়ছে অনেকটাই। পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস এবং তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ছাড়াও দার্জিলিং মেল চালু করা হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের যোগাযোগ অনেকটাই সুবিধা হবে। এ নিয়ে তারা ইতিমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই সংগঠনের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীকে লিখিতভাবে এই দাবি জানান হবে।” তিনি আরো বলেন গত আগস্ট মাসে রেলের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করণা আবহের ফলে সেই মিটিং না হলেও তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন বন্ধ এই ট্রেনগুলি পুজোর আগেই চালু করার জন্য।