
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ দেশবাসীর কাছে ঐতিহাসিকি দিন, ২৯ বছরের প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের ভূমিপুজো সম্পন্ন করলেন। দীর্ঘদিন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যুতে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো অবস্থান নিয়ে এসেছে কংগ্রেস। কখনও এর স্পষ্ট বিরোধিতা করেনি, আবার রাজীব গান্ধী ছাড়া আর কোনও কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এর সমর্থনও করেননি। এই মাঝামাঝি অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিল দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর এবার খোদ রাহুল গান্ধী গবান শ্রীরামের বন্দনায় ব্রতী হলেন।
মন্দির নির্মাণ নিয়ে মুখ খুললেন দীর্ঘদিন ধরে এই ইস্যুতে নীরব থাকা রাহুল গান্ধী। এক টুইটে প্রভু রামের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। সেই সঙ্গে বর্তমান মোদি সরকারকে সুক্ষ কটাক্ষেও বিঁধলেন রাহুল। টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেতা বললেন, ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম রাম সর্বোত্তম গুণের স্বরূপ। আমাদের মনের গভীরে বসে থাকা মানবতার মূল ভাবনা। রাম মানে প্রেম, তিনি কখনও ঘৃণা করবে পারেন না। রাম মানে করুণা। তিনি কখনও নিষ্ঠুর হতে পারেন না। রাম মানে ন্যায়। তিনি কখনও অন্যায়ের মধ্যে অবস্থান করতে পারেন না।”
আরও পড়ুন: রচিত হল এক ঐতিহাসিকক্ষণের… পূণ্যলগ্নেই সম্পন্ন ভূমিপুজো
ভূমিপুজোর দিন দুই আগে থেকে হঠাৎ মন্দিরের সমর্থনে সুর চড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতারা। মঙ্গলবার রামভক্তির সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ । তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমি শুরু থেকেই বলছি, মন্দির নির্মাণকে আমরা সমর্থন করি। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সবার সম্মতিতে এভাবে মন্দির নির্মাণ সম্ভব।” কমল নাথের পর খোদ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাম মন্দিরের সমর্থনে মুখ খোলেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন,’জাতীয় ঐক্যের উৎসব হয়ে উঠবে রাম মন্দিরের এই ভূমিপুজো। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরকেও আজ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দেখা গিয়েছে।