গোটা বিশ্বে রামনাম, মন্দির ঘিরে নয়া সংকল্প ভিএইচপির

রক্তিম দাশ, কলকাতা: রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের দিনটিকে বিশ্বজুড়ে উদযাপনের আহ্বান জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ(ভিএইচপি)।৫ আগস্ট ভূমি পূজনের মধ্য দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণ করে অযোধ্যার রামজন্মভূমি মন্দিরে নির্মাণকার্য শুরু হবে। ওই দিনটিকে বিশ্বের বুকে নতুন করে হিন্দুদের সংগঠিত করার পাশাপাশি রামনাম ছড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণ করেছে ভিএইচপি। অন্যদিকে এই ভূমি পূজন অনুষ্ঠানের জন্য রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কলকাতা কার্যালয় থেকে বাংলার বিভিন্ন তীর্থ থেকে সংগ্রহিত মাটি ও জল রওনা দিল অযোধ্যার উদ্দেশ্যে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনশাল রবিবার যুগশঙ্খকে বলেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মভুমি মন্দিরের ভূমি পূজন অনুষ্ঠানের শিলান্যাস করবেন। করোনা আবহের কারণে এই অনুষ্ঠানটিতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। বিভিন্ন মঠ-মন্দির-আশ্রমের সাধু ও সন্তরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে এই অনুষ্ঠানটি দেশ ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অগণিত হিন্দুদের জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে সরাসরি দেখানো হবে।’
আরও পড়ুন:চেংদুর মার্কিন দূতাবাসের দূতাবাসের মার্কিন পতাকা নামিয়ে দিল চিন
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্ব ক্ষেত্রিয় সম্পাদক অমিয় সরকার বলেন,‘এই অনুষ্ঠান ঘিরে ভিএইচপি-ও সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। যদি করোনা পরিস্থিতি না থাকত তাহলে অযোধ্যা ৬০ হাজারে মতো কার্যকর্তা সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ১৫০ জনের উপস্থিতির মধ্যেই এই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে।’ এই দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক রামভক্তদের অনুরোধ করা হয়েছে নিজ নিজ বাড়িতে, গ্রামে, মঠ-মন্দির, মহল্লায় এই উপলক্ষে বিজয় মহামন্ত্র জপ, আরতি, ভজন, কীর্তন করার জন্য। এর পাশাপাশি ওইদিন সন্ধ্যায় প্রতিটি বাড়িতে দীপ প্রজ্জলনের আহ্বানও করা হয়েছে। তবে সব কিছুই করতে হবে করোনার বিধিনিষেধ মেনে।এদিকে রবিবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত হিন্দু তীর্থক্ষেত্রগুলি থেকে সংগ্রহিত জল এবং মাটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কলকাতা কার্যালয় থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে ট্রেনে রওনা দিলেন সংগঠনের কার্যকর্তারা।
আরও পড়ুন:আগস্ট থেকে শুরু হতে চলছে আনলক-৩ পর্ব
ভিএইচপির পূর্ব ক্ষেত্রর সংগঠন সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘৫ আগস্ট ভারত সহসমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমরা গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল এবং মাটি, কালীঘাট মন্দিরের পবিত্র মাটি, নবদ্বীপ ধামের পবিত্র জল ও মাটি, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পবিত্র জল ও মাটি, ত্রিবেণী সংগমের পবিত্র জল ও মাটি, ভূতনাথ মন্দিরের জল ও মাটি, জয়দেব কেন্দুলি থেকে অজয় নদীর পবিত্র জল একজন কার্যকর্তার মাধ্যমে ভূমি পূজনের অনুষ্ঠানে অভিষেকের জন্য পাঠালাম বাংলার কোটি কোটি হিন্দুর হৃদয়ের আবেগ অনুভূতি, শুদ্ধাপূর্ণ ভাবাবেগের প্রতীক স্বরূপ।’