রামপুরহাট হত্যালীলাঃ রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে কি ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। আর তারপরই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সব কিছু খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের আসার কথা।
বগটুইতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্তত দুই শিশু ও ৬ মহিলা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনায় তাই বীরভূম পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইল শিশু সুরক্ষা কমিশন। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি লেখা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। পুলিশ সুপারের কাছে শিশু সুরক্ষা কমিশনের আর্জি, যাতে দ্রুত যোগ্য আধিকারিকদের দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়। গ্রামের বাকি মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, সে বিষয়েও পুলিশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
এক নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল বগটুই গ্রাম। হিংসা বা রাজনৈতিক কারণ যাই থাকুক না কেন সেই হিংসার মাশুল দিতে হল সাধারণ মানুষকে। বাদ গেল না শিশুরাও। কতগুলি দলা পাকানো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহের অবস্থা এতটাওই বীভৎস যে সেগুলিকে চেনাই দায়।
ঘটনায় রাজ্যের তরফে গঠন হয়েছে সিট। রামপুরহাটে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, রামপুরহাটের ঘটনায় তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন জ্ঞানবং সিং। এই ঘটনায় ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সম্ভবত সঞ্জু শেখের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খুনের এক ঘন্টার মধ্যেই বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ না অন্য উদ্দেশে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসডিপিও রামপুরহাটকে সরানো হয়েছে।