fbpx
কলকাতাহেডলাইন

ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! চালকের অশালীন প্রশ্নের মুখে তরুণী, র‍্যাপিডো কাণ্ডে গ্রেফতার চালক

সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরে পালালো স্কুটি

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক:  ওলা-উবেরের পরে এবার শহরের বুকে বাইক ট্যাক্সির পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা র‍্যাপিডোর চালকদের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করে দিল মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ। রাতে বাড়ি ফেরার জন্য স্মার্টফোনে বুক করেছিলেন বাইক। কিন্তু তাতে সওয়ার হয়ে যে এমন দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হবে, কে-ই বা ভেবেছিল! ভাবেননি গড়ফা থানা এলাকার তরুণীও। কিন্তু বাস্তবে ঘটল তেমনই। চালকের একগাদা চূড়ান্ত অশালীন প্রশ্নের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে গন্তব্যের আগেই নেমে পড়লেন তরুণী। লালবাজারে ই-মেল পাঠিয়ে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ তৎপর হয়ে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।মঙ্গলবার রাতেই এই ধরনের এক ঘটনায় পুলিশ এক র‍্যাপিডো চালককে গ্রেফতার পর্যন্ত করেছে। ওই চালকের বিরুদ্ধে তারই এক মহিলা আরোহীকে শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯ টা নাগাদ আলিপুর থানা এলাকার দেসি লেনের রেস্তরাঁ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অনলাইনে একটি বাইক  বুক করেন গাঙ্গুলি পুকুরের এক তরুণী। অভিযোগ, বাইকে ওঠার পরপরই তাঁকে অশালীন প্রশ্ন করতে শুরু করেন। শরীর সংক্রান্ত প্রশ্নের পাশাপাশি প্রেমিকের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক – এধরনের প্রশ্ন করতে করতে তা শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায়।

এরপর বিরক্ত তরুণী বাধ্য হয়ে গন্তব্যের আগেই বাইক থেকে নেমে পড়েন। বাকি পথটা তিনি একা হেঁটে ফেরেন। এই সময়েও ওই বাইক চালক তাঁর পিছু নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। এরপর তরুণী প্রথমে সংশ্লিষ্ট অনলাইন বাইক সংস্থায় অভিযোগ জানান, তারপর গড়ফা থানা এবং কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হন। ই-মেল পাঠান লালবাজারেও। এমন অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। গড়ফা থানার সাবইন্সপেক্টর বন্ধুচরণ পাল ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে এগোন। হরিদেবপুর থানা এলাকার ঢালিপাড়ায় খোঁজ মেলে অভিযুক্ত আলম হোসেনের। হরিদেবপুর থানার সহায়তায় মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় বছর উনচল্লিশের আলমকে। আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে।

আরও পড়ুন: ধর্ষকদের রাসায়নিকভাবে লিঙ্গচ্ছেদের অনুমোদন দিল পাকিস্তান

যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইদানিং গণপরিবহণ এড়িয়ে অনেকেই এধরনের অনলাইন ক্যাব, বাইক ব্যবহার করে থাকেন। অনেক দ্রুত এবং সহজে পরিষেবাও পাওয়া যায় এতে। কিন্তু তাতে চড়ে বাড়ি ফেরার সময়ে এমন ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন এই তরুণী, তারপর তিনি এ ধরনের পরিষেবার নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। যদিও কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় তিনি সন্তুষ্ট। এখন চান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়।

অন্যদিকে, এদিনই সকালে খাস কলকাতায় স্কুটি আরোহীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে গিয়ে আহত হলেন কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। আহত ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট অমিতাভ দাস যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মী। এদিন অমিতাভ বাবু যাদবপুর এইটবি মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন। সেই সময়ে যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড থেকে বেরিয়ে সিগনাল ভেঙে একটি স্কুটি রাজা এস সি মল্লিক রোডে ঢুকে পড়ে। অমিতাভ দাস স্কুটি আরোহীকে আটকান ও ফাইন করতে চান। কিন্তু সেই স্কুটি আরোহী সিগনাল ভাঙার কথা অস্বীকার করে ও পালাতে যায়। অমিতাভবাবু তা দেখেই স্কুটির পিছনের অংশ ধরে আটকাতে গেলে তিনি পড়ে যান। তাঁর ডান হাতে কাঁধের কাছে গুরুতর চোট লাগে। স্কুটি আরোহীকে আটকাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে সিগন্যালও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিগন্যাল ভেঙে বাঁদিকের গলি দিয়ে পালিয়ে যায় স্কুটি আরোহী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সেই স্কুটি শনাক্তকরণের চেষ্টা করছেন যাদবপুর থানা ও ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা৷ আহত অমিতাভ দাসকে প্রথমে ইডিএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঁধের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রুবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

 

 

Related Articles

Back to top button
Close