কোজাগরীর আকাশে এবার বিরলতম ‘ ব্লুমুন’

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আকাশ এবার ভাসবে ‘ ব্লু মুনের’ আলোয়। শনিবার রাতের আকাশে বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। যাকে বলে ‘ওয়ান্স ইন আ ব্লু মুন’। অর্থাৎ বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা। এবার লক্ষ্মীপুজো দু দিনের, শুক্রবার বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা। আর এদিনই দেখা মিলবে ব্লু মুনের। পাশ্চাত্যের দেশগুলোয় অবশ্য ৩১ অক্টোবর ‘হ্যালোইন উৎসব’। সে রাতে ৮ টা ১৯ মিনিট নাগাদ দেখা যাবে এই ‘ নীল চাঁদ।’
কী এই ‘ ব্লু মুন’? এর মানে কিন্তু আক্ষরিক অর্থে নীল চাঁদ নয়। এ মাসে দু’ বার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে। যে মাসে দুবার পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যায়, সেই মাসে দ্বিতীয় পূর্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ‘ ব্লু মুন’। এ মাসে ১ ও ২ অক্টোবর পূর্ণিমা ছিল, আবার ৩০ ও ৩১ অক্টোবর পূর্ণিমা। অনেক সময় ৩০ দিনের মাসেও ‘ ব্লু মুন’ দেখা যায়। যেমন- ২০০৭ সালের ৩০ জুন দেখা গিয়েছিল। আবার দেখা যাবে ২০৫০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। শেষবার ব্লু মুন দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। আর এবার যদি কোন কারণে ব্লু মুন দেখতে না পান তাহলে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা ড. দেবীপ্রসাদ দুয়ারি ‘ ব্লু মুনকে’ বলছেন ‘ মাইক্রোমুন।’ তাঁর ব্যাখ্যা ‘ চাঁদ উপবৃত্তাকারে তার কক্ষপথে ঘুরে চলে। এইভাবে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ পৃথিবীর থেকে দূরতম বিন্দুতে চলে যায়। এই সময় পূর্ণিমা হলে চাঁদকে ছোট দেখায় , তাই তখন একে ‘ মাইক্রো মুন’ বলে।’ ‘চাঁদ মামাকে’ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। এখন চাঁদে জলের খোঁজ চলছে। অনাগত ভবিষ্যতে চাঁদে বাড়ি তৈরির স্বপ্নে মশগুল অনেকেই। তার মাঝে এই মহাজাগতিক ‘চাঁদমারি ‘ রহস্য বাড়াল বই কমালো না।