আমফানে বিপর্যস্ত টাকি পৌরসভার ইচ্ছামতী নদীর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু
শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহকুমার টাকি পৌরসভার টাকি পর্যটন কেন্দ্রের ইছামতি নদীর ঘোষ বাবুঘাট থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত আমফানের তাণ্ডবে দুই কিলোমিটার নদী বাঁধের পিচের রাস্তা নদীর গর্ভে চলে যায়। পাশাপাশি নদীর ধারে থাকা প্রায় ১৫ টা দোকান ইছামতির নদীতে তলিয়ে যায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকি পৌরসভার দু নম্বর ওয়ার্ডের এই দু কিলোমিটার রাস্তা টাকির মূল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম। একদিকে সীমান্তে বিএসএফ ক্যাম্প। গোটা রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে অসুবিধায় পড়ে বহু মানুষ,ও সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা। জলবন্দি মানুষের পানীয় জল, বিদ্যুৎ,ও খাবারের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ইছামতি নদীর ধারে এই দু’কিলোমিটার বাঁধের পাকা রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছেন। সামনে পূর্ণিমার ভরা কোটাল, সেই কথা মাথায় রেখে যাতে নতুন করে আরও বড় বিপদ যাতে না হয় সেই দিকটা মাথায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: পানীয় জল ও বিদ্যুতের দাবিতে খালি মাটির কলসি ও প্লাকার্ড নিয়ে পথ অবরোধ কংগ্রেসের
একদিকে বাঁধের উপর রাস্তা সংস্কার,অন্যদিকে ইছামতি নদীর ভাঙ্গন রুখতে তড়িঘড়ি প্রশাসন বাঁধের উপর মাটির বস্তা ফেলে ভরাট করছে। পাশাপাশি অন্যদিকে ইটের খোয়া দিয়ে রোলার দিয়ে রাস্তা লেভেলিং করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। টাকি সৈয়দপুর সীমান্তের ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ ক্যাম্প পুরোপুরি বিপর্যস্থ। একদিকে ওয়াচটাওয়ার ভেঙে পড়েছে, অন্যদিকে বড় গাছ ক্যাম্পের মধ্যে পড়ে রয়েছে। সমস্যায় পড়েছে ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।আমফান ঝড়ের রাত্রে কত বড় বিপর্যয় নেমে এসেছিল যে বিএসএফ জওয়ানরা ক্যাম্প ছেড়ে টাকি ভবনাথ স্কুলে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে। তারপর দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরে আবার ফিরে যায় তাদের ক্যাম্পে।সবমিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টাকি ইছামতি নদীর দু কিলোমিটার রাস্তার গাডোয়াল ভেঙে পড়েছে নদীতে ।
অন্যদিকে বিএসএফ ক্যাম্প বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই দু কিলোমিটার রাস্তা কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে সীমান্তের বিএসএফের জওয়ান ও গ্রামবাসীরা। কারণ টাকির শহরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ কারী এই রাস্তা। এই রাস্তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে টাকি হসপিটাল, কলেজ, স্কুল, বাজার, এবং পুলিশ স্টেশন এইসব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে কয়েক হাজার গ্রামবাসী।