fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

কাটোয়ায় অসহায় বৃদ্ধা অমলা ঘোষের দু’বেলার আহার জোটাচ্ছে মুসলিম পাড়ার বাসিন্দারা

দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া: কাটোয়ায় অসহায় বৃদ্ধা অমলা ঘোষের দু’বেলার আহার জোটাচ্ছে মুসলিম পাড়ার বাসিন্দারা । বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা বেশ কিছুদিন ধরে আশ্রয় নিয়েছেন দাঁইহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোকামপাড়ার একটি বাড়ির খোলা বারান্দায় । বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি বিশেষ হাঁটাচলা করতে পারেন না । সেই কারনে ভিক্ষা করে যে নিজের খাবার জোটাবেন তারও উপায় নেই । তাই তাঁকে দু’বেলার খাবারের জন্য মোকামপাড়ার বাসিন্দা সোনাই খাতুন,রচুল শেখেদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে । ওই যুবক-যুবতীরা পালা করে বৃদ্ধাকে দু’বেলা খাবার দিয়ে আসছেন ।

জানা গেছে,অমলা ঘোষ নামে ওই বৃদ্ধার শ্বশুরবাড়ি ছিল দাঁইহাট পুর এলাকার বেড়া শিবতলাপাড়ায় । দাঁইহাটেই বাপের বাড়ি ছিল তাঁর । নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধার স্বামী প্রায় ১৮ বছর আগে মারা গেছেন । তারপর তাঁকে বাপের বাড়িতে আস্রয় নিতে হয় । স্বামী মার যাওয়ার কিছুদিন পর অমলাদেবীর বাবা মারা গেলে পৈতৃক ভিটে বিক্রি হয়ে যায় ৷ এরপর নিজের ভরনপোষনের জন্য পাঞ্জাবে গিয়ে রান্নার কাজ করতে শুরু করেন অমলাদেবী ।

আরও পড়ুন: ইউজিসি নির্দেশিকা মেনে ১ অক্টোবর থেকে শুরু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,বছর দেড়েক আগে ওই বৃদ্ধা পাঞ্জাব থেকে দাইহাটে চলে আসেন । কিন্তু তাঁর মাথা গোঁজার মত কোনও জায়গা না থাকায় দাঁইহাট শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তিনি দিন কাটাচ্ছিলেন । এই দেখে স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোগী হয়ে ফের তাঁকে পাঞ্জাবে পাঠিয়ে দেন । কিন্তু মাস তিনেক ফের তিনি দাঁইহাটে চলে আসেন । তারপর থেকে দাইহাট শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামপাড়ার একটি বাড়ির খোলা বারান্দাতে দিন কাটছে অসহায় ওই বৃদ্ধার ।
স্থানীয় বাসিন্দাসোনাই খাতুন,রচুল শেখরা বলেন, “ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করার মত শারিরীক ক্ষমতা নেই ওই বৃদ্ধার ৷ তাই পাড়ার লোকজনরা পালা করে বৃদ্ধাকে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছি। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে । তাই বৃদ্ধাকে সরকারি কোনও আশ্রয়স্থলে রাখার ব্যবস্থা করা হলে খুব ভালো হত ।”

Related Articles

Back to top button
Close