কাটোয়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জমি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়ার এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া–২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতের কোয়ারা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের কাছে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কাটোয়ার মহকুমা শাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে আস্ত একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এক ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও ভীষ্মদেব ঘোষ নামে অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষকের দাবি, “ওই জমি কিভাবে আমার নামে রেকর্ড হয়েছে তা আমার জানা নেই। জায়গাটি আমার দখলেও নেই। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এই কাজ করা হয়েছে।“
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কোয়ারা গ্রামের উত্তরপাড়ায় ৩৫৩ দাগ নম্বরে ১০ শতক জায়গার একাংশের উপর রয়েছে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। প্রায় বছর ১৭ আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য একটি পাকা ক্লাস রুম ও একটি রান্নাঘর তৈরি করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩ জন শিশু ওই কেন্দ্রে পড়াশোনা করে। এছাড়া প্রতিদিন পড়ুয়ারা ছাড়াও প্রায় ৬০ জন প্রসূতিকে খাবার দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হারু ঘোষ, রমেশ ঘোষের কথায়, “অঙ্গনওয়াড়িটি কেন্দ্রের জায়গাটি চান্ডুলী গ্রামের মিত্র পরিবারের ছিল বলে জানি। তাঁরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মানের জন্য জায়গাটি ছেড়ে দেন। কিন্তু এখন দেখছি স্থানীয় বাসিন্দা ভীষ্মদেব ঘোষ নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের নামে রেকর্ড হয়ে গেছে। বুঝতে পারছি না কি করে এটা হল। আমরা চাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নামেই জায়গাটি ফের রেকর্ড করা হোক।“
এই বিষয়ে কাটোয়া ২ ব্লকের বিএল এন্ড এল আরও রাহুলদেব বাগুই বলেন, “কোনও জায়গা মিউটেশন করতে হলে ভূমি সংস্কার দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী আগে আবেদনকারীকে সমস্ত নথি দেখাতে হয়। তারপরেই রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।“