fbpx
পশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

ইটভাটার শ্রমিকদের সাহায্যার্থে বগুলার ভাত ও রুটি ব্যাংক এগিয়ে এল

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, রানাঘাট: করোনা আবহে অস্থায়ী শ্রমজীবী ঠিকা কর্মী সহ আর্থসামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের কথা মাথায় রেখে অতি সম্প্রতি লকডাউ পরিস্থিতি প্রতিরোধ কল্পে গড়ে ওঠা বগুলার ভাত ব্যাংক ও রুটি ব্যাংক নামক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান দুটির ভূমিকা আজ সত্যি ই প্রশংসনীয় এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এদের পরিষেবা দানে খুশি।

 

লকডাউন কার্যকর হওয়ার পরদিন থেকেই এই প্রতিষ্ঠান দুটি পৃথক পৃথক ভাবে এলাকা সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চল সমূহে পরিষেবার ডালি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুপুরে রান্না করা ভাত ডাল তরকারি এবং অবশ্যই তরকারির মধ্যে কোনোদিন মাছ, কোনদিন মাংস, কোনদিন ডিম থাকছে। প্রতিদিনই এলাকার দেড়শতাধিক পরিবারের মধ্যে এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে রুটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ওই সমস্ত পরিবারের মধ্যেই রাত্রির খাবার হিসাবে রুটির সঙ্গে তরকারি,কখনো বা রুটি এবং ভাজা পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিনিধি রা। অভূতপূর্ব পরিকল্পনা শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠান দুটি। মূল উদ্দোক্তা কৈখালীর অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান সুব্রত বিশ্বাস,এম,এ,বিটি পাস করে সরকারি চাকরির চেষ্টায় অপেক্ষা রত যুবক এবং তার ই বন্ধু বগুলা ষ্টেশন পাড়া স্থিত স্নাতক উত্তীর্ণ কর্ম প্রার্থী তাপস কুমার মন্ডল।

মুলত প্রাথমিকভাবে দুই বন্ধুর ভাবনা হলেও এখন সদস্য সদস্যা সংখ্যা বেড়ে অনেক। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে শুকনো এবং রান্না খাবারের পাশাপাশি ইদানিং বাচ্চাদের জন্য দুধ ও চিপস এবং অতিসম্প্রতি পোশাক-পরিচ্ছদ বিতরণ প্রক্রিয়া ও শুরু করেছে সেবা প্রতিষ্ঠান দ্বয়। সেবা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত প্রত্যেকেই এলাকার অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের উঠতি ছেলেমেয়ে, স্কুল বা কলেজে পাঠরত, পড়াশোনার পাশাপাশি কেউবা টিউশন করে,কেউ বাড়ি থেকে বাবা- মায়ের কাছ থেকে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে এই মহতী কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছে। মূলত এরা এলাকার বিভিন্ন অসহায় পরিবারসহ বগুলা রেলওয়ে স্টেশন, রেল ষ্টেশন সংলগ্ন লাইনের ধারে অবস্থানকারী পরিবার, বিভিন্ন বাড়িতে শ্রমজীবী ভাড়াটিয়া পরিবার সহ স্থানীয় শিলবেড়িয়া, যাত্রাপুর এবং গাজনা ইটভাটার শ্রমিক- কর্মচারী ও তাদের পরিবারের মধ্যেই এই খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক পরিচ্ছদ বিতরণ করে চলেছে।

Related Articles

Back to top button
Close