সুন্দরবনে আদিবাসীদের করম পুজো, মুক্তি মিলবে করোনাভাইরাস থেকে!

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: প্রকৃতির রুষ্ট হয়েছে, তাই প্রকৃতি পুজো করতে হবে। মহামারী করোনা ভাইরাস যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছে তাই প্রকৃতিকে পুজো করতে হবে না হলে এই মহামারী থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না।
সুন্দরবনের সন্দেশখালি ব্লকের বয়ারমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকর দহগ্রামে। টানা আট দিন এই পুজোতে মাতবেন আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। আদিবাসী নৃত্য ও গানের মধ্যে দিয়ে রাতভর করম উৎসবের মাতবেন স্বয়ং বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, সম্পাদক অশ্বিনী মাহাতো, মধুসূদন মাহাতো সহ বিশিষ্টজনেরা।
প্রথম দিনই এই আদিবাসী উৎসবে রীতিমতো মাদল নিয়ে নৃত্য করলেন বিধায়ক সুকুমার মহাত । প্রাচীনকাল থেকে আদিবাসী সমাজের কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে করম গাছপুজো হয়ে আসছে। আসলে করম একটি গাছ , তাই গাছকে প্রসাদ হিসেবে লুচি, তেলের পিঠে, শশা সহ বিভিন্ন ফুল বেলপাতা দিয়ে তাকে পূজো করা হবে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রকৃতি বাঁচাতে সুন্দরবন তাই প্রকৃতিকে তুষ্ট করতে হবে এই রীতি মেনে নিয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে।
আদিবাসী সমাজের মানুষেরা সম্প্রতি মহামারী করোনাভাইরাস উৎস্য কথা বলতে গিয়ে বারবার বলেছেন প্রকৃতি রুষ্ট হয়েছে তাই ভারসাম্য বজায় রাখথে করোনার মতো উপসর্গ এনে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে । গাছ লাগাতে হবে প্রচুর পরিমাণে।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত শহর ও শহরতলীতে প্রচুর পরিমাণে ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। আর তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে না হলে আগামী দিনে আরও বড় মহামারীর কবলে পড়তে হবে মানুষকে। তাই শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সুন্দরবনের করমউৎসব, রাতভর গাছকে পুজো করার পাশাপাশি ধামসা মাদলের তালে রাতভর নাচবে আদিবাসী নৃত্য গানের মধ্য দিয়ে।
মেতে উঠবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ । এদিন সন্দেশখালি বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে দেখা গেল অন্য রূপে। আদিবাসী নৃত্য সঙ্গীত উৎসবে আদিবাসী নৃত্য ও গানের মধ্য দিয়ে করম উৎসব পালন করলেন আদিবাসী সমাজের মানুষের সঙ্গে। সব মিলিয়ে আদিবাসী সমাজের মূল কথা প্রকৃতির রুষ্ট হয়েছে তাই করোনা ভাইরাস মহামারী গোটা বিশ্বে জাঁকিয়ে বসেছে। প্রকৃতিকে পুজো করতে হবে তাহলেই নিস্তার মিলবে।