মেখলিগঞ্জে রাস্তার কাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত দুই
মেখলিগঞ্জ: রাস্তার কাজকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ালো মেখলিগঞ্জে। চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খেতাবেচা হাট থেকে ১৪৪ কামাত চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রথম ধাপে এক কিমি রাস্তার কাজ শুরু করা হয়৷ রবিবার দিন কিছু বাসিন্দা সম্পূর্ণ রাস্তার কাজের দাবি জানিয়ে সেখানে হাজির হলে প্রথমে উত্তেজনা এবং পরে তা সংর্ঘষের আকার ধারন করে। কাজের দায়িত্বে থাকা লোকেদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয় স্থানীয়দের । সংর্ঘষে দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ” উন্নয়ন পর্ষদ ও প্রশাসনিক দপ্তরে তাদের দাবি জানিয়েও কোন লাভ হয়নি ৷ আপতত এক কিমি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে এবং বসতিযুক্ত এলাকায় না করে ফাঁকা জায়গায় কাজ শুরু করা হয়েছে। আর এতেই এলাকাবাসীরা আপত্তি জানায়।” তারা দাবি জানায়, সম্পূর্ণ রাস্তার কাজ করতে হবে এবং বসতিযুক্ত এলাকায় রাস্তার কাজ শুরু করতে হবে। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা কাজের স্থলে গেলে কাজের দায়িত্বে থাকা মানুষজন তাদের ওপর লাঠি -কোদাল দিয়ে হামলা চালায় ৷এতে তাদের দুই জন আহত হয়েছেন ৷ এরমধ্যে ভবেন রায় নামে এক ব্যক্তিকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঐ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু রায় জানান, “এদিন কাজ শুরু হতেই কিছু স্থানীয় ব্যাক্তি বাধা দেন ,এরপর যারা কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারি জানান, “উন্নয়ন পর্ষদের তরফে কাজ শুরু করা হয়েছে। সেখানকার কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছিল সম্পূর্ণ রাস্তার কাজ করতে হবে। পর্ষদের তরফে ধাপে ধাপে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিষয়ে কী কী হয়েছে তা এখনও জানিনা ৷ তবে বিষয়টি জেলাশাসক , জেলা পুলিশ সুপার এবং মেখলিগঞ্জ মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে ৷