নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করেন নি। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য যে ঘাসফুল শিবির বুঝতে অসুবিধা হয় না। সোমবার বিকেলে তিনটি টুইট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন,’ গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি যেসব রাজ্যে বিরোধীরা সরকার চালাচ্ছে সেখানে বিজেপি কর্মীরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক যন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে করোনা সম্পর্কে সরকারের সমালোচনা করলেও সরকারের রোষানলে পড়েছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে হুগলির অশান্তির ঘটনায় বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় মেলেনি পাড়ায় যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ কমিশনার ও জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও দেখা করতে পারেন নি। তাঁর ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ,আইআর দায়ের হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুগলির অশান্তির ঘটনায় অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান। এরপরই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির টুইটের লক্ষ্য করে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। টুইটের দ্বিতীয় অংশে বাক স্বাধীনতার বিষয়ে সরব হয়েছেন জে.পি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন, ‘বিতর্ক এবং সমালোচনা গণতন্ত্রের অঙ্গ। কিন্তু সরকারি যন্ত্রকে ব্যবহার করে চুপ করিয়ে রাখা ক্ষমতার অপব্যাবহার। বিরোধীদের শাসকদলের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২১ মে থেকে রাজ্যের খুলবে বড় দোকান, শ্রমিকদের জন্য আরও ১১৫টা ট্রেন চাইব, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী
দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ যাঁরা প্রশাসনের ব্যর্থতায় মুখ খুলছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিন নম্বর টুইটের তিনি লিখেছেন, ‘ আমি বিজেপির সমস্ত কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু যাঁরা শাসকদলের আক্রমণের লক্ষ্য হচ্ছেন তাঁদের আশ্বস্ত করে বলছি বিজেপি আপনার পাশে রয়েছে। যারা নিজেদের জনবিরোধী রাজনীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আপনাদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইছে গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপি তার প্রতিরোধ করবে।