শিল্প নয়, কৃষি নয়, শুধু কাটমানি চান দিদি: সম্বিত পাত্র

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে কৃষি বিল। সেই কারণেই বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র শুক্রবার বিজেপি রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র আক্রমণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘ সি.এম. মানে কাটমানি দিদি। শিল্প নয়, কৃষি নয় কাটমানি চান দিদি।’ পাশাপাশি এই কৃষিবিলের মাধ্যমে স্বাধীনতার এতো বছর পরে কৃষকদের প্রকৃত স্বাধীনতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ।
এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘ আমি বাংলার ৭৩ লক্ষ কৃষকদের বলতে চাই মোদিজি আপনাদের খাতায় প্রতি বছর ৬০০০ টাকা পাঠিয়েছেন কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে। কিন্তু মমতা দিদি সেই প্রাপ্য টাকা আপনাদের পেতে দেননি। এই প্রকল্পের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন, যাতে বাংলার কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা না পান।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘ মমতা দিদি এখন এই প্রকল্পের টাকা তাঁকে দিতে বলছেন। দিদি এখানেও কাটমানি। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো গরিব কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা হবে। সুতরাং দিদি আপনি যা চাইছেন সেটা হবে না। গরিব কৃষকের প্রাপ্য টাকায় কাটমানি হবে না। আপনি শিল্প চান না, কৃষি চান না, শুধু কাটমানি চান।’ তিনি আরও বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে কোন কৃষক আত্মহত্যা করলে আজ পর্যন্ত দিদি দুঃখ প্রকাশ করেছেন!’
Addressing Press Conference on #FarmBills2020 at @BJP4Bengal Headquarters today along with National Secretay & MP Sh @RahulSinhaBJP Ji,State Gen Secretay Ms @me_locket ji & State Gen Secetary Sh @amipratapbolchi Ji & others!! pic.twitter.com/w8NVFNYexJ
— Sambit Patra (@sambitswaraj) September 25, 2020
তিনি বলেন, ”কেন্দ্রের কৃষি বিলের অহেতুক বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন বিরোধীরা। গত ৫০ বছর ধরে কংগ্রেস থেকে শুরু করে যারাই কেন্দ্রে সরকারে এসেছে তাদের উদ্দেশ্য ছিল গরিবকে আরও গরিব রাখা, কিষাণদের কথা কেউ ভাবেন নি। মোদিজি প্রথমবার কৃষকদের স্বাধীনতা দিলেন। প্রথম বিলটিতেই যেমন কৃষকদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তাঁরা কিষাণ মাণ্ডি ছাড়াও যে কোন জায়গায় বসল বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও মাণ্ডিগুলোতে কৃষককে কর দিতে হতো। এখন থেকে আর কর দিতে হবে না। ফলে মধ্যস্বত্বভোগী বা ফড়েরা আগে যেভাবে কৃষকদের ঠকাতো, এখন তা আর হবে না।’ এছাড়াও এই বিলে আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কৃষককে তার পণ্যের দাম তিন দিনের মধ্যে মেটানোর নির্দেশ রয়েছে। বস্তুত সঙ্গে সঙ্গেই দাম মেটানোর কথা বলা হয়েছে। যদি কোন কারণে তা সম্ভব না হয় তাহলে তিনদিনের মধ্যে মেটাতে হবে। ‘
তিনি বলেন, ‘ এই বিলে দ্বিতীয় কৃষক সহায়ক যে বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে তার হলো ‘ কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ‘। এই ব্যবস্থায় ছোট বা বড়ো কৃষক কোন ব্যক্তির সঙ্গে চাষের বিষয়ে চুক্তি করতে পারে। ধরা যাক আলু প্রতি কেজি ১০ টাকা দাম ঠিক হলো। চুক্তি কারী ব্যক্তি শুরুতেই ১০ টাকা দরে চুক্তি করবেন। কিন্তু উৎপাদনের পরে যদি বাজারদর ২৫ টাকা কেজি হয় তাহলে ওই টাকাই দিতে হবে।’ এইসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘এবার মোদিজি রবিশস্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্য সেপ্টেম্বর মাসেই ঘোষণা করে দিয়েছেন যা নভেম্বর , ডিসেম্বর মাসে করা হয়ে থাকে। আমি বলবো মোদিজি প্রথমবার কৃষির ক্ষেত্রে উদারীকরণের পথে হেঁটে ইতিহাস তৈরি করলেন।’