শিশু খুনে উত্তাল শান্তিনিকেতন, অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর থেকে অগ্নিসংযোগ, সামাল দিতে নামল RAF
বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার একরত্তির দেহ, গ্রেফতার অভিযুক্ত

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ, আর সেই অশান্তির আঁচে চার বছরের শিশুর প্রাণ কেড়ে নিল প্রতিবেশী। মঙ্গলবারের এই হাড়হিম ঘটনায় একদিকে শোকস্তব্ধ শান্তিনিকেতন অন্যদিকে ক্ষোভের আগুনে উত্তেজিত স্থানীয় মানুষ অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর চালানো থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্রে আগুন জ্বালিয়ে দিল। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল শান্তিনিকেতন। পরিস্থিতি সামলাতে র্যাফ নামে। উত্তেজিত মানুষকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। মৃতের নাম শুভম ঠাকুর(৪)। অভিযুক্তের বাড়ির ছাদ থেকে আজ পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ির আশেপাশ থেকে দুর্গন্ধের কারণে সাধারণ মানুষের সন্দেহ হয়। খবর যায় পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ির ছাদ থেকে শুভমের দেহ উদ্ধার করেছে। প্রতিবেশী রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বিস্কুট কিনে বাড়ি ফেরার পথে পাড়ায় নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শুভম। রবিবার শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত মোলডাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে পুলিশ একটি কুকুরকে ওই এলাকায় নিয়ে এসে তল্লাশি চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শম্ভু ঠাকুর ও মমতা ঠাকুরের দুই ছেলের মধ্যে শুভম ছোট। শম্ভু পেশায় নাপিত। সে তার বেশিরভাগ সময় তার সেলুনে কাটায়। বাড়ির কাজের পাশাপাশি ছেলেদের দেখাশোনা করতেন মমতা। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে সামনেই একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে যায় শুভম। তার পর থেকে শুভমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শান্তিনিকেতন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা তল্লাশি চালালেও শুভমের কোনও খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্রে খবর শুভমের বাড়ির সঙ্গে অভিযুক্তের বাড়ির দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান পারিবারিক আক্রোশ থেকেই এই খুন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।