কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
সারদা মামলায় নয়া ভয়েস রেকর্ডিং! জেলে গিয়ে সুদীপ্ত-দেবযানীকে জেরা, আসিফ খানকে তলব CBI’র

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গরু পাচার কয়লা পাচারকারীদের তদন্ত এখন প্রাথমিকভাবে ঘুরে গিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার দিকে। তবে তৃণমূল সরকারের জন্মলগ্ন থেকে রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্ত ঢিলেমি দিতে চাইছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রের খবর, আচমকাই একটি নতুন ভয়েস রেকর্ডিং হাতে এসেছে সিবিআই গোয়েন্দাদের।সেই ভয়েস রেকর্ডিং মিলিয়ে দেখার জন্য একদিকে যেমন তৃণমূল নেতা আসিফ খানকে তলব করা হয়েছে, ঠিক তেমনই জেলে গিয়ে সুদীপ্ত এবং দেবযানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
একসময়ের সারদা এবং নারদ কান্ডে তদন্ত রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেও একাধিক আধিকারিক বদলি হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চূড়ান্ত চার্জশিট পেশের সময় দীর্ঘায়িত হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন একাধিক অভিযুক্ত। তবে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং তার সহকারী দেবযানী মুখোপাধ্যায় এখনও রয়েছেন জেলের ভিতরে।শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দেবযানীর জামিনের আবেদন জানিয়ে তার আইনজীবী আদালতের দ্বারস্থ হন।
তার আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি সিবিআইকে জানতে চান, ‘তদন্তে এত দীর্ঘ সময় লাগছে কেন? আর কুণাল ঘোষ যদি জামিন পেতে পারেন, তাহলে দেবযানী মুখোপাধ্যায় কেন পাবেন না?’ সিবিআইয়ের জামিনের বিরোধিতা করে জানায়, কুণাল ঘোষ মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং তিনি সারদা গোষ্ঠীর বেতনভুক কর্মী ছিলেন। আর দেবযানী ছিলেন সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সহকারী। দেবযানী মুখোপাধ্যায় যে তথ্য জানেন সে তথ্য সারদা গোষ্ঠীর অনেক কর্মচারী জানেন না। এরপরই নয়া ভয়েস রেকর্ডিং-এর প্রাপ্তির বিষয়টি আদালতকে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী। এই নয়া ভয়েস রেকর্ডিং নিয়ে এবার সিবিআই তদন্ত এগোতে চায় বলে আদালতে জানানো হয়।
সওয়াল-জবাব শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিবিআই-এর জেরা পর্ব শেষ হলে, ৮ সপ্তাহ ফের দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। একইসঙ্গে জেলে গিয়ে সুদীপ্ত এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় কে জেরা করার অনুমতিও দেয় আদালত। এছাড়াও তৃণমূল নেতা আসিফ খান কে কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখার জন্য তলব করেছেন গোয়েন্দারা।