রায়গঞ্জে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব সায়ন্তন বসু

মিল্টন পাল, মালদা: ‘রায়গঞ্জে বিজেপি কর্মীকে পুলিশ পিটিয়ে গুলি করে খুন করেছে। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’ মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে রায়গঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো রেশন সামগ্রী গ্রাহকদের না দিয়ে খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে শাসকদলের নেতারা বুধবার সায়ন্তন বসু মালদার পুড়িটুলি এলাকায় সদ্যস পদ সংগ্রহ যোগ দিয়ে একথা বলেন।
পাল্টা তৃণমূলের দাবি বাংলায় গিমিক তৈরী করে লাভ নেই। বাংলায় সবাই সমস্ত প্রক্লপের সুবিধা পাচ্ছে।এদিনের কর্মসূচিতে তিনি ছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন জেলা সভাপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র মন্ডল সহ বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার সকালে রাজ্য বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু সকালে শহরের রাজমহল রোড এলাকায় চা পে চর্চায় যোগদেন। এরপর তিনি ইংরেজবাজার শহরের পুড়াটুলি ও ঝলঝলিয়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি সদস্যপদ সংগ্রহ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। নিজে হাতে প্রধানমন্ত্রীর লেখা লিপলেট বিলি করেন। এরপর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে একটি ছোটো সভা করেন। স্থানীয়দের কথা শুনেন তিনি।
এরপর বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমাদের এক কার্যকর্তাকে পুলিশ পিটিয়ে গুলি করে মেরেছে। বুধবার আন্দোলন চলছে। আমরা পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি করছি। অন ক্যামেরা পোস্টমর্টেম ও কলকাতায় পোস্টমর্টেমের দাবি করছি। দোষী পুলিশ অফিসারদের গ্রেফতারের দাবি করছি। এটাই পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা। ১১০ জন কার্যকর্তাকে আমরা হারিয়েছি। আমি শুক্রবার রায়গঞ্জে যাচ্ছি। সেখান থেকে ভবিষ্যতের আন্দোলন শুরু করব। সদস্য পদ সংগ্রহ বিজেপির কর্মসূচি চলাকালীন রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে দেওয়া চাল ডাল খোলাবাজারে বিক্রি করছে তৃণমূল নেতারা। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কেন্দ্রের যোজনা অনুযায়ী বিনামূল্যে রেশন দেবে।মোদিজী টাকা পাঠান ঘর, শৌচালয় তৈরীর জন্য আর মানুষ ঘর, শৌচালয় কিছুই পাচ্ছে না। মোদি দিচ্ছে টাকা দিদি নিচ্ছে কমিশন। সারা রাজ্য ধরে যা ঘটছে মালদার ইংরেজবাজারেও তাই ঘটছে।তাই সেই সরকার গরীব দরদি কিভাবে হয়?যেমন সমস্ত কাজে কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা সেই রকম ঘর শৌচালয় তৈরীতেও কাটমানী নিচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো চাল খোলা বাজারে চড়া দামে কালোবাজারি করছে তৃণমূলের নেতারা। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে এর প্রতিকার হবে।
পাল্টা জেলা তৃণমূলের মুখোপাত্র শুভময় বসু বলেন,এরা কেন্দ্র রাজ্যের সম্পর্ক বোঝে না। দেশের মধ্যে বাংলায় প্রথম প্রক্লপের কাজ বেশী হয়েছে। করোনা আবহে রেশন বিনামূলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যার মধ্যে বিরোধীরাও এর সুবিধা পাচ্ছে। তিনি না বুঝেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। সুতরাং সায়ন্তন বসুরা পশ্চিমবঙ্গে গিমিক করে কোন লাভ নেই।