হাইলাকান্দিতে মাস্ক বিতরণের নামে ৩০ লক্ষাধিক টাকার কেলেঙ্কারি!

যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, কাটলিছড়া: কোভিড পরিস্থিতিতে হাইলাকান্দি জেলার ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাস্ক বিতরণের নামে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগে পর তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইলাকান্দি জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জয়দীপ শুক্লা। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের জরুরি বার্তা পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ওই তদন্তের নির্দেশ দেন জয়দীপ শুক্লা।
জানা গেছে, হাইলাকান্দি জেলায় করোনা পরিস্থিতিতে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের অর্থে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাস্ক বিতরণ কার্যসুচি গ্রহণ করা হয়।জেলার ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যেক জিপির দুই হাজার জব কার্ড হোল্ডারদের মধ্যে পঁচিশ টাকা মূল্যে মাস্ক বিতরণ দেখিয়ে প্রায় একত্রিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সর্বত্রই নাম মাত্র মাস্ক বিতরণ করে ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমতে আরও দুবছর সময় লাগবে: হু
এদিকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও মাস্ক বিতরণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উত্থাপিত হয়। উত্তর হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম জিপি থেকে শুরু করে দক্ষিণ হাইলাকান্দির ঘাড়মুড়া জিপি পর্যন্ত মাস্ক বিতরণের নামে বেলাগাম দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়েরও দৃষ্টিগোচর হয়। সঙ্গে সঙ্গে এব্যাপারে তদন্তক্রমে বিহিত পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হাইলাকান্দি জেলা পরিষদের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ পেয়ে জেলা পরিষদের সিইও জয়দীপ শুক্লা, শুক্রবার বিকেলে হাইলাকান্দির এএসএল আরএম প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট অফিসার আসরফ হোসেনকে শীঘ্রই তদন্তক্রমে মাস্ক বিতরণের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।। জেলার কোন জিপিতে কতটি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে, মোট কত টাকা ব্যয় হয়েছে তাও রিপোর্টে দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বরাক উপত্যকার দায়িত্বে থাকা ওএসডি শেখর দে কেও তদন্তের নির্দেশের কথা কপি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।