আসানসোলে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়ালেন স্কুলের শিক্ষিকা, লাইব্রেরিয়ান ও রেল হাসপাতালের প্রাক্তন কর্মী

শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: লক ডাউনের পরে আন লক পর্ব চলছে। করোনা আবহের মধ্যে আসানসোলের কাল্লা ২ নং জাতীয় সড়ক বা বাইপাস মোড় সংলগ্ন লি পাড়ায় বেশ কয়েকটি পরিবার প্রায় অনটনে দিন কাটাচ্ছে৷ পরিবারের বেশীরভাগ সদস্যর রেশন কার্ড না থাকার পাশাপাশি প্রায় সব পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশী হওয়ায় তাদের দুর্ভোগ চরম আকার নিয়েছে৷ এই পরিবারগুলোর বেশীরভাগ সদস্য হয় দিনমজুর বা লোকের বাড়িতে কাজ করেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এইসব পরিবারের অবস্থার কথা জানতে পারেন আসানসোল ইষ্টার্ন রেলওয়ে হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুলের শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র। মঙ্গলবার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে সেইসব পরিবারের সদস্যদের হাতে বিশ্বনাথবাবু তুলে দেন ২ কেজি করে চাল, ৫০০ গ্রাম করে ছোলা, ২৫০ গ্রাম মুসুর ডাল, ২০০ গ্রাম সরষের তেল ও ১০০ গ্রামের সোয়াবিনের প্যাকেট।
এই প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ মিত্র বলেন, এইসব দেওয়ার সমস্ত ব্যয় বহন করেছেন আসানসোল ইষ্টার্ণ রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি হাইস্কুলের লাইব্রেরিয়ান অঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল রেল হাসপাতালের প্রাক্তন কর্মী জয়ন্ত সামন্ত ও হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরের স্কুল শিক্ষিকা তথা সাহিত্যিক সুতপা দত্ত দাশগুপ্ত ৷ বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে এদিন ছিলেন রাজ্য ওয়েলফেয়ার বিভাগের কর্মী জাহ্নবী অধিকারী ও আসানসোলের মহীশিলা কলোনির অ আ ক খ ক্লাবের সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাশ।