fbpx
পশ্চিমবঙ্গশিক্ষা-কর্মজীবনহেডলাইন

শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকার পর, মিড-ডে মিলের আলু কী দামে কেনা হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান: নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করে আলুর দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ২২ টাকা ও খুচরো বাজারে ২৫ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। অথচ শিক্ষা দফতর মিড-ডে মিলের জন্য ৩০ টাকা কেজিতে আলু কেনার কথা বলেছে ।এই পরিস্থিতিতে কি দরে মিড-ডে মিলের আলু কেনা হবে তা নিয়ে মহা ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছেন বিদ্যালয় শিক্ষকরা।

মিড- ডে মিলের আলু কেনা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন (শিক্ষা) গত শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে মিড-ডে মিলে আলু কেনা যাবে। অথচ আলুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ে গত ২৪ জুলাই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দর ২২ টাকা ও খচরো দর কেজি প্রতি ২৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। আলুর দাম আরও কমানোর জন্য এরপর ৭ অগস্ট ফের নবান্নে বৈঠক করে প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ মেনে ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য ‘মন কি বাত’ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

জেলার শিক্ষকদের একাংশের দাবি, ২৮ টাকা কেজি দরে মিড-ডে মিলের আলু কেনার কথা আগস্ট মাসে বলেছিল শিক্ষা দফতর। তার পর আবার ২ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা কেজি দরে কেনার কথা বলা হল। অথচ সরকার অন্য দর বেঁধে দিয়েছে। এই অবস্থায় কি দরে মিড-ডে মিলের আলু কেনা হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না বলে শিক্ষকরা মন্তব্য করেছেন।

এই বিষয়ে রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, “পুরানো নির্দেশ তুলে নিয়ে সব জেলাশাসককে নতুন নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে খোলা বাজার থেকে সব চেয়ে কম দামে আলু কিনতে হবে। তারপরেও পূর্ব বর্ধমান প্রশাসন কি ভাবে পুরনো নির্দেশিকা অনুযায়ী আলু কিনতে বলল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
“অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) হুমায়ুন বিশ্বাস এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার আলুর দাম কমানো সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠালে তা স্কুলগুলিকে কর্যকর করতে বলা হবে।“

Related Articles

Back to top button
Close