বাংলাদেশে সেনা পাঠান… হিন্দু নির্যাতন রুখতে মোদিকে বার্তা বাঙালি মহাসংঘের

রক্তিম দাশ, কলকাতা: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনে সেনা পাঠান। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সুরে সুর মিলিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে আবেদন জানাল বাঙালি হিন্দু মহাসংঘ। ওপারে হিন্দুদের ওপর জেহাদি আক্রমণ ঠেকাতে হাসিনা সরকারের হস্তক্ষেপের দাবিও তুলেছে আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্লোবাল বাঙালি হিন্দু কোয়ালিশন। শুক্রবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবিতে নয়া দিল্লি, কলকাতা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এবং নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশের কুমিল্লার মুরাদনগরের হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট করে লিখেছেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করতে আমাদের সেনা প্রেরণ করতে হয়েছিল। এখন আমাদের আবারও বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারতীয় সেনাকে প্রেরণ করতে হতে পারে।’
গ্লোবাল বাঙালি হিন্দু কোয়ালিশনের ভারতীয় শাখা বাঙালি হিন্দু মহাসংঘের সভাপতি অনিরুদ্ধ দে যুগশঙ্খকে বলেন, ‘ মুরাদানগর সহ বাংলাদেশে ধারাবাহিক হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা সমগ্র বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সংগঠিত করছি। শুক্রবার দিল্লিতে চাণক্যপুরি এবং কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের সামনে আমরা প্রতিবাদ করব এবং নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে স্মারকলিপি দেব।
অনিরুদ্ধবাবু বলেন, এই কর্মসূচি একযোগে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে হবে।’
অনিরুদ্ধবাবু বলেন,‘ দিল্লির কর্মসূচিতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রশান্ত হরতালকার। আমরা ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশ হিন্দু নির্যাতন বন্ধে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। আমরা চাই এই বিষয়ে ভারত সরকার ঢাকার সঙ্গে কথা বলুক এবং চাপ সৃস্টি করুক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকমহলে দরবার করা হয়েছিল প্রয়োজনে এবারও তা করা হোক।’
অনিরুদ্ধবাবুর দাবি, ‘আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এধরণের ঘটনা ধারাবাহিক ভাবে ঘটতে থাকলে প্রথমে শান্তি আলোচনা এবং পরবর্তীতে সেনা পাঠিয়ে তা দমন করে। সম্প্রতি আজারবাইজান-ইউক্রেণের যুদ্ধ নিয়েও আমরা দেখেছি তাদের ভূমিকা নিতে। তাহলে ভারত কেন মানবিকতার স্বার্থে বাঙালি হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে না? বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘুরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। ইউএন শান্তি সেনা পাঠালে আমরা কেন পাঠাতে পারব না ওপারের মুক্তমনা আর সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে।’
ক্ষোভের সঙ্গে অনিরুদ্ধবাবু বলেন,‘ আমাদের কান্নাকাটি করা আর সমবেদনা দেখানোর দিন শেষ এবার কড়া হাতে জেহাদি শক্তির মোকাবিলা করতে হবে বিশ্ব ব্যাপি হিন্দু জনগোষ্ঠীকে বাঁচানোর জন্য।’