জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি শাহবাজ সরকার! সাপ্তাহিক কর্মদিসব কমালো পাকিস্তান

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ এক কঠিন সংকটের মধ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে। এই অবস্থা মোকাবিলায় আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি শাহবাজ সরকার।
জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সাপ্তাহিক কর্মদিবস থেকে এক দিন কমিয়েছে পাকিস্তান। এখন থেকে আর শনিবারকে কর্মদিবস হিসেবে ধরবে না দেশটির সরকার। তীব্র জ্বালানি সংকট সামাল দিতে লাগাম টানা হচ্ছে বহু খরচের ক্ষেত্রে।
তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সংকট মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য নতুন গাড়ি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মতো সামগ্রী কেনা বন্ধ রাখা হবে।
সরকারি দফতরের জন্য বরাদ্দ জ্বালানির পরিমাণ ৪০ শতাংশ কমানো হবে। স্থগিত রাখা হবে বিদেশ সফরও।
সব মিলিয়ে সরকারি দফতরের জ্বালানির ব্যবহার ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মকর্তাদের দুপুরের খাবার, রাতের খাবার, এমনকি বিকেলের টিফিন পর্যন্ত পরিবেশন করা হবে না এখন থেকে। এ ছাড়া সরকার শুক্রবার বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে থেকে কাজ করার নির্দেশনা কার্যকর করার কথাও ভাবছে। এক দিন পর পর রাস্তার আলো নিভিয়ে রাখা নিয়েও প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে পাকিস্তান সরকারের। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারের জন্য বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান মূল্য ও বিদ্যুৎবিভ্রাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাহবাজ শরিফ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শনি ও রবিবারের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি কমিয়ে শনিবারকে কর্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। রাষ্ট্রটি বর্তমানে ২১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ তৈরি করছে। কিন্তু নতুন তাপপ্রবাহের মুখে তাদের চাহিদা তৈরি হয়েছে ২৮ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের।