ফের একবার সন্তানসম্ভবা বেঙ্গল সাফারির ‘শীলা’

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়িঃ ফের মা হতে চলেছে শীলা! বর্তমানে ৩মাসের গর্ভবতী সে। না! এ শীলা কোন হিন্দি সিনেমার আইটেম গার্ল শীলা না! এ শীলা একটি বাঘ! এই শীলা শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির অন্যতম আকর্ষনীয় রয়েল বেঙ্গল টাইগার শীলা! বেঙ্গল সাফারির সাদা বাঘের মা। ঠিক বছর দু’য়েক আগে সংবাদের শিরনামে চর্চিত ছিল এই শীলা। ফের একবার সেই চর্চাতেই উঠে এলো শীলা। সাফারি পার্ক সুত্রে খবর, শীলা ৯০ দিনের গর্ভবতি। আর তাতে ফের একবার উচ্ছাস সাফারি পার্কে।
এর আগে তিন- তিনটি বাচ্চা দিয়েছিল শীলা। যার মধ্যে একটা সাদা বাচ্চাও ছিল। এবার আবার সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। বেঙ্গল সাফারি সুত্রে খবর, এবারের তার পুরুষ সঙ্গীটিকে পরিবর্তন করেছে সাফারি কতৃপক্ষ। গতবার ছিল স্নেহাশীস। এবার তার প্রজননের জন্য বিভানের সঙ্গে তার সঙ্গম করায় পার্ক কতৃপক্ষ। পার্কের ডিরেক্টর ধরমদেও রাই জানিয়েছেন, গোটা দেশে যখন করোনা আবহে লকডাউন চলছে। সমস্ত বিনোদনের স্থান গুলিকে বন্ধ রাখা হয়েছে। ঠিক তেমনই সাফারি পার্কটিকেও বন্ধ রেখে এই দুটি বাঘকে এক জায়গায় রেখে সঙ্গম করানো হয়।
আর তাতেই প্রকৃতির নিয়মে শীলা গর্ভবতী হয়ে পরে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সাফারী বন্ধ থাকলেও শীলা ও বিভানকে উন্মুক্ত স্থানে ছেড়ে রাখাই হয়। আর তারই ফলস্বরূপ শীলা ফের একবার সন্তান ধারণ করে। আর এই খবরটি পার্ক, রাজ্য সরকার সহ গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে খুবই ভালো খবর বলে তিনি উচ্ছাস প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, পার্ক কতৃপক্ষ ইতিমধ্যেই শীলাকে বিশেষ নজরদারীতে রেখেছে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া পানীয় সহ নিয়মিত চিকিৎসকদের নজরদারিতে রয়েছে শীলা। সেইসঙ্গে পশুদের মাতৃকালিন অন্যান্য বিষয় গুলিকেও খুবই যত্ন সহকারে দেখাশোনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে এই সাফারি পার্কেই গত বছর দুয়েক আগে প্রথমবার প্রজনন করিয়ে তিনটি বাচ্চা দেয় শীলা। সেই তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চা মারা গেলেও এখনও দুটো বাচ্চা বেশ বহালতবিয়তেই আছে বলে জানায় পার্ক কতৃপক্ষ। তাদের দিয়ে সাফারীও করা হয়েছে। এবার আবার নতুন সদস্য আসার দিনগোনা শুরু করল সাফারী পার্কের কর্মীরা। তবে পার্কের বাকি পশু পাখিরাও ভালো আছে বলে জানায় পার্কের ডিরেক্টর।
এদিকে সরকারি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পার্ক খোলাও হবেনা। দেশের ক্রমেই বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে সেখানে সাফারী পার্কে বাঘের বংশবৃদ্ধি কিন্তু খুবই ইতিবাচক দিক বলে মনে করছে সরকার সহ পশুপ্রেমি ও আপামোর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারণ মানুষ।