ঝাড়গ্রামে খেলার মাঠে শুট আউট, গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সুদর্শন বেরা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে খেলার মাঠে শুট আউট, গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার ভর দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম পৌরসভার বাছুর ডোবা এলাকায় ক্রিকেট খেলার মাঠে। ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকায় ক্রিকেট লিগ প্রিমিয়ার খেলা শুরু হয়েছে। তিনদিন আগে ওই খেলার উদ্বোধন করেছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠোর। মঙ্গলবার ওই মাঠে খেলা দেখতে এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া ঝাড়গ্রাম থানার রাধানগর গ্রামের তকবীর আলী। তাঁর বয়স ২৮ বছর।
ওই যুবক যখন মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিল সেই সময় ঝাড়গ্রাম শহরের গাইঘাটা এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ গুরুং খেলার মাঠে এসে তকবীর আলীকে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। সে পরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর খেলা দেখতে আসা মানুষেরা যে যেদিকে পারে ছুটে পালায়,বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্রিকেট খেলা।
গুলিবিদ্ধ যুবককে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় তাকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ির মধ্যে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাছুরডোবা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ গুরুং এর বাড়িতে উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ গুরুং ঝাড়গ্রাম থানায় এন ভি এফ পদে কর্মরত। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ গুরুং পলাতক। তাঁর খোঁজে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে রয়েছে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্য সুন্দর ভট্টাচার্য্য, ঝাড়গ্রাম থানার আই সি পলাশ চট্টোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে মৃত ও অভিযুক্ত দুই জনই জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। প্রায় দুই মাস আগে তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। পরে তা মিটে যায় বলে মৃতের ভাই জানায়। তবে ভরদুপুরে ক্রিকেট খেলার মাঠে শুট আউট এর ঘটনা ঘটায় ঝাড়গ্রাম শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বাছুর ডোবা এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে ।যেকোনো সময় আরো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে মঙ্গলবার বিকালে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে ওই ঘটনার ফলে মৃত যুবকের পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।