লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে অসুস্থ বৃদ্ধা, মাকে বাড়িতে ফেরাতে বিভিন্ন দফতরে ছুটছে ছেলে

মৃন্ময় বসাক, হেমতাবাদ: লকডাউনের কারণে গত সাত মাস ধরে বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন হেমতাবাদের আমবাগানের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী শিল। বৃদ্ধা মাকে বাংলাদেশ থেকে হেমতাবাদের বাড়িতে ফেরাতে বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কাজ না হওয়ায় অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ছেলে সন্তোষ শীল।
জানা গেছে, হেমতাবাদের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী শীল গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পাসপোর্ট করে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার দক্ষিণ কোতোয়ালী থানার মুরাদপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যায়। এরপর করোনার সংক্রমণ রুখতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন। শরীর ভালো না থাকায় হেমতাবাদে ফিরিয়ে আনার জন্যে ফোন করে ছেলের কাছে কান্নাকাটি করছে অসহায় ওই বৃদ্ধা। ছেলে সন্তোশ শীল হেমতাবাদে একটি সেলুনের দোকানে কাজ করে সংসার চালান।
বেশ কয়েকদিন দোকান বন্ধ রেখেও বিভিন্ন দফতরে ছুটেও অসুস্থ্য মাকে দেশে ফেরাতে পারছেন না সন্তোষবাবু। তিনি বলেন, মার্চ মাসে মা পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে আত্মীয়র বাড়ি গিয়েছিল। লকডাউন শুরু হওয়ায় আর আসতে পারছে না। কয়েকমাস ধরে মায়ের শরীর ভালো নেই। ফোন করে বাড়ি ফেরার জন্য কান্নাকাটি করছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। মাকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
এই ব্যপারে হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, আমবাগান এলাকার ওই বৃদ্ধা বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন সেই কথা জানি। তার ছেলেকে একটি লিখিত দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানাতে বলেছি। আমরা জেলা প্রশাসনকে এই সমস্যার কথা জানাবো।