শিলিগুড়িতে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ, মানুষের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করলেন পর্যটন মন্ত্রী
সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য মানুষের সচেতনতার অভাব ও বেপরোয়া মনোভাবকে দায়ী করলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। এদিকে সোমবার ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রিকু ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এদিন শিলিগুড়িতে ১৩ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদের মধ্যে একজন ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা। তিনি শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী। বাকি ১২ জন শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে ৭৮ বছর বয়সের ওই মৃত ব্যক্তির বাড়ি শিলিগুড়ি বাঘাযতীন কলোনীতে। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে সংক্রমণ ধরা না পড়লে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে শহরে এভাবে করোনা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেই সঙ্গে তিনি শহরে এই ব্যাপক সংক্রমণের জন্য শিলিগুড়ির মানুষের একাংশের সচেতনতার অভাব এবং বেপরোয়া মনোভাবকে দায়ী করেন।
এদিন শিলিগুড়িতে নিজের দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মানুষকে আরও সচেতন এবং সাবধান হতে হবে। শিলিগুড়িতে অনেক মানুষের মধ্যেই সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেও চলছেন না। একটি বাইকে দুজন, তিনজন চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে গেলে মানুষকে এ ব্যাপারে আরও বেশী সচেতন ও সাবধান হতে হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, শিলিগুড়িতে চ্যাং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি নার্সিংহোমে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিকাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উপসর্গ হীন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সরকারি নির্দেশ মতো হাতিঘিসা ও বাতাসির কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দুটিকে সেফ হাউস হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পর্যটন মন্ত্রী।