সরকারকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি, পায়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা ঝাড়খণ্ডের ২৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকের
মিলন পণ্ডা, হলদিয়া (পূর্ব মেদিনীপুর): রাজ্য সরকারের কাছে বাড়ি ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের আবেদনে কোনও কর্ণপাত করেনি বলে পরিয়ারী শ্রমিকদের অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়া থেকে ঝাড়খণ্ডের পায়ে রওনা দিয়ে ছিল ২৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়ি ফেরা হল না ঝাড়খণ্ডের পরিয়ারী শ্রমিকদের। বাধা হয়ে দাঁড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসন।অবশেষে পুলিশের বাধায় বাড়ি ফিরতে পারলেন না ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিকরা।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে হলদিয়ায় কাজে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের শ্রমিকরা। কিন্তু হঠাৎ করোনা ভাইরাসের জেরে দেশে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেননি শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এই সমস্ত শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে বারবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েও বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা না হওয়ায় হেঁটে হেঁটে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন। এই খবর পেয়ে সোমবার পথে আটকায় পুলিশ।
গত কয়েক মাস আগে হলদিয়ার কুকড়াহাটির একটি ইটভাটাতে কাজে এসেছিলেন ভিন রাজ্যে ঝাড়খণ্ডের প্রায় ২৫ জন শ্রমিক। ইটভাটার মালিকের পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও লকডাউন দিনের পর দিন বেড়ে চলায় শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন ইট ভাটার মালিক। ঝাড়খণ্ডের পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে খেতে না পেয়ে হলদিয়ার একটি ইটভাটায় ছিলেন। বাড়ি ফিরতে চেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আবেদন জানালেও কোনো রকম সুরাহা মেলেনি।তারা সিন্ধান্ত নেয় হলদিয়া থেকে ঝাড়খন্ডে দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি ফিরবেন। সোমবার সকালে হলদিয়ার কুকড়াহাটি থেকে তারা পায়ে হেঁটে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এমন সময় শ্রমিকদের হেঁটে যেতে দেখে মহিষাদল সিনেমা মোড় এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশরা তাদের আটকায়। এখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর পুলিশের তরফ থেকে তাদের হলদিয়াতে ফিরে যাওয়ার কথা বললে পরিয়ারী শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো ব্যাবস্থা করা হবে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্য সরকার কোনরকম কর্ণপাত করেনি। সেকারণে এভাবে রোদের মধ্যে শ্রমিকদের হেঁটে বেড়াতে হচ্ছে।