অবসরে সোনিয়া! ইউপিএ-র সম্ভাব্য চেয়ারপার্সন পাওয়ার

নয়াদিল্লি: সোনিয়া গান্ধীর স্থালাভিষিক্ত হতে চলেছেন মহারাষ্ট্র রাজনীতির গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ সোনিয়া আর ইউপিএ সভানেত্রীর পদ সামলে উঠতে পারছেন না। সঙ্গে রয়েছে নানাবিধ শারীরিক সমস্যাও। তাই শীঘ্রই ইউপিএ চেয়ারপার্সনের পদ থেকে অবসর নেবেন তিনি, দেখা দিয়েছে জল্পনা। এরপরই সোনিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজতে নেমে পড়েছেন বিরোধী জোটের নেতারা। আর এই পদে সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার হিসাবে উঠে আসছে শরদ পাওয়ারের নাম।
সূত্রের খবর, ইউপিএ সভাপতি পদে আর দায়িত্ব পালন করতে চাইছেন না সোনিয়া। তিনি আশা করছেন, খুব শীঘ্রই এ পদের উত্তরাধিকারী খুঁজে পাবে দল। রাহুল গান্ধীও এই পদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। তাই আগামী বছরের শুরুতেই সভাপতি নির্বাচনে ভোটের আয়োজন করবে বিরোধী জোট। সূত্রের খবর, এর আগে কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেও ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন সোনিয়া। কিন্তু এবারে বয়সের ভারে আর সেটাও করতে চান না রায়বেরেলির সাংসদ। উভয় পদ থেকেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা ভোটের পর রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা দিলে সোনিয়া সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাহুল গান্ধীর মতো তরুণ নেতার সঙ্গে তৃণমূল বা ডিএমকে-র মতো শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলির জোট কোনও ধরনের সমঝোতায় আসতে নারাজ। এছাড়া ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসাবে সোনিয়া গান্ধীর প্রভাবও এখন অনেকটাই খাটো হয়ে গিয়েছে। তাই এই পদে এমন একজন নেতার প্রয়োজন যিনি এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এমন অবস্থায় সোনিয়ার উত্তরাধিকারী হিসেবে পাওয়ার সবচেয়ে যোগ্য কারণ, শত্রু মিত্র সব বিরোধী নেতার সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভালো। আরসোনিয়ার পর জোটের সবচেয়ে পুরনো নেতাও তিনি। সব দলের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলার অভ্যেস তাঁর আছে। কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর জোট বহুদিনের।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির পরস্পর বিরোধী জোটও সামাল দিচ্ছেন ভালভাবেই। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল। সেক্ষেত্রে সরকার-বিরোধী সুসম্পর্ক স্থাপনের একটা নজির তৈরি হতে পারে। তাই সার্বিকভাবে ইউপিএ চেয়ারপার্সন হওয়ার দৌড়ে পাওয়ার এগিয়ে আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।